ভিডিও

দুর্গোৎসব উপলক্ষে জমে উঠেছে দিনাজপুরের ‘বউ বাজার’

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৫, ২০২৪, ১১:১৬ রাত
আপডেট: অক্টোবর ০৫, ২০২৪, ১১:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : বাজারটির প্রায় সব ক্রেতাই নারী হওয়ায় নাম তার 'বউ বাজার'। বড় বড় দোকান ও শপিংমলে বিক্রি হয় যে মানের পোশাকগুলো ঠিক সে মানের পোশাক ও কাপড় সস্তা দামে পাওয়া যায় ব্যতিক্রমধর্মী বউ বাজারে।

এখানকার দোকানিদের বড় দোকান ও শপিংমলের মতো খরচ না থাকায় একই মানের পোশাক সস্তায় বিক্রি করতে পারে। নারী ও শিশুদের পছন্দের পোশাক যেমন-সালোয়ার-কামিজ, টু-পিস, থ্রি-পিস ও গেঞ্জিসহ বিভিন্ন ধরনের বাহারি পোশাক পাওয়া যায় এই বউ বাজারে।

এছাড়া পাওয়া যায় শাড়ি-বোরকাসহ পোশাক তৈরির বিভিন্ন প্রকার থান কাপড়। শপিং সেন্টারগুলোতে পাওয়া যায় এমনই পোশাক বা একই মানের পোশাক বউ বাজারে সস্তায় বিক্রি হয় এ কারণে বউ বাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর পরবর্তী কয়েকটি শুক্রবার বউ বাজারে তেমন কোন নারীকে দেখা যায়নি।

তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহোৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বউ বাজার জমজমাট হয়ে উঠে। সীমিত আয়ের হিন্দু নারী শিশুদের উপচে পড়া ভিড়ে বউ বাজার আগের মত আবারও ফিরে পায় সেই চিরচেনা রুপ।

দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি ও বাসুনিয়াপট্টির ফুটপাতে প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে এ বউ বাজার। এ বাজারের সব দোকানিরা শহরের বড় বড় দোকান বা শপিংমলের কর্মচারী। তারা সপ্তাহের ছয়দিন মহাজনের কাজ শেষে শুক্রবার নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করেন।

বউ বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন, বিদ্যুৎ বিল, সাজসজ্জার খরচ উঠাতেই বড় দোকান বা মার্কেটে পাওয়া সমমানের পোশাক বা কাপড়ের দাম বেশি হয়। এসব কোনো খরচ লাগে না বলেই বউ বাজারে সস্তায় পোশাক বা কাপড় পাওয়া যায়। সস্তায় পোশাক বা কাপড় পাওয়া যায় বলেই সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বউ বাজারে ক্রেতারা ভিড় করে।

বউ বাজারের দোকানি মো. নজরুল ইসলাম জানান, এখানকার সব শহরের বড় দোকানের কর্মচারী। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শহরের সব দোকান বন্ধ থাকে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাড়িতে না বসে বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সব কর্মচারীরা মিলে এই বউ বাজার দেওয়ার উদ্যোগ নেয় তিন বছর আগে।

প্রথমে বাসুনিয়াপট্টি সড়কে ২৫ থেকে ৩০টি দোকান মালদহপট্টি এলাকায় শুরু করলেও বর্তমানে মালদহপট্টি ও বাসুনিয়াপট্টি এলাকায় প্রায় শতাধিক দোকান বসে। দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন, বিদ্যুৎ বিল, ডেকোরেশন খরচ না থাকায় বড় দোকানের মতো সমমানের পোশাক কম দামে বিক্রি করতে পারছি। সামনে দুর্গাপূজা, তাই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত নারী ও শিশু ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS