ভিডিও

বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই এগিয়ে চলেছেন রোমান

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৬:৩০ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৬:৩০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

অভি মঈনুদ্দীন: ফারহান রোমান, এই সময়ের একজন আলোচিত ফটোগ্রাফার। আলোচিত এ কারণেই যে তিনি বাংলাদেশের সিনেমার সুপারস্টার নায়ক শাকিব খানের অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করছেন। রোমানের ক্যামেরার ফ্রেমেই স্থির চিত্রে বন্দী হয়েছিলেন আরশাদ আদনান প্রযোজিত হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় শাকিব খান ও ইধিকা পাল।

‘প্রিয়তমা’ সিনেমার যতো স্থিও চিত্র অর্থাৎ ছবি আছে সবগুলোই রোমানের তোলা। সেই ছবিগুলো দেশ বিদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে, প্রশংসিতও হয়েছে। পরবর্তীতে একই প্রযোজক পরিচালকের ‘রাজকুমার’ সিনেমারও ফটোগ্রাফির কাজ রোমানই করেছিলেন। এই সিনেমারও বিশেষত দেশের মধ্যকার যতো ছবি সবগুলোই রোমানের তোলা। তবে কিছুদিন আগে শাকিব খান রোমানকে ‘হারল্যান’র সাথে যুক্ত করে নিয়েছেন। অর্থাৎ এখন রোমান হারল্যান’র অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার হিসেবে চাকুরী করছেন। বিশেষত শাকিব খান যতোগুলো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন সবগুলোতেই রোমান উপস্থিত থেকে শাকিবের বিভিন্ন মুহুর্তের ছবি তোলেন রোমান। রোমান ভীষণ মেধাবী একজন ছাত্র। স্টেট ইউনিভার্সিটিতে তিনি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যাণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনা করছেন দ্বিতীয় বর্ষে। ফটোগ্রাফি নিয়েই রোমানের স্বপ্ন। তার বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাবার দিক নির্দেশনায় অনুপ্রাণিত হয়ে একজন দেশ সেরা ফটোগ্রাফার হবারই স্বপ্ন তার।

রোমান বলেন,‘ আবার বাবা ফিরোজ মিয়া। একজন সৎ মানুষ। বাবা ইতালীতে থাকেন। বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মায়ের দোয়ায় আমি ফটোগ্রাফি পেশায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি ২০১৬ সাল থেকে। আমার বাবা আমার এই পেশাগত কাজকে কখনো বাঁধা দেননি। তবে সৎ ভাবে চলারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি।  এরইমধ্যে শাকিব ভাইয়ার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া এখন পর্যন্ত আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিই বলা চলে। তিনিই আমাকে কিছুদিন আগে হারল্যান-এ চাকুরী দিলেন। এটাও অনেক বড় বিষয় আমার কাছে। ইণ্ডাষ্ট্রিতে তিনি আমার অভিভাবক। আমাকে ভীষণ স্নেহ করেন তিনি। তার কারণেই আমি নবাব এলএলবি, অন্তরাত্না, গলুই, আগুন, প্রিয়তমা, রাজতকুমার’ সিনেমায় ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। শাকিব ভাইয়া আমার কাছে অনেক অনেক ভালোবাসার, শ্রদ্ধার একজন ,মানুষ। তার কারণেই জীবন চলার পথে এক অন্যরকম গতি এসেছে। আমি আমৃত্যু এই মানুষটিকে শ্রদ্ধা করে যাবো, ভালোবেসে যাবো আমি যেখানেই থাকিনা কেন। ফটোগ্রাফিতো থাকবেই, তবে আমার স্বপ্ন একজন ভালো মানুষ হিসেবে ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার।’ ৪ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেয়া রোমানের তিন বোন ও এক ভাই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS