ভিডিও

উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে সর্বপ্রথম এআই-সক্ষম ডায়াবেটিস রেমিশন সেন্টারের যাত্রা শুরু

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪, ০৭:০৬ বিকাল
আপডেট: জুন ১০, ২০২৪, ০৭:০৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল এবং এক্সপার্টো লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে, একটি অত্যাধুনিক ক্রিসেন্ট ডায়াবেটিস রেমিশন এবং ওয়েলনেস সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মাহমুদ রাকিবের নেতৃত্বে গত ২ জুন এই অত্যাধুনিক সেন্টারটি উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর মাহমুদ রাকিব এবং এক্সপার্টো লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মঈনুল হাকিমসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে সেন্টারে ব্যবহৃত এআই-সক্ষম প্রিসিশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যাটফর্মটি মেটাবোলিক রোগ থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্বের প্রথম তুলনামূলক ডিজিটাল রেপ্লিকা প্রযুক্তি ব্যবহার করে, এই প্ল্যাটফর্মটি রোগীদের স্বতন্ত্র মেটাবোলিক প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রদান করে। এই প্রযুক্তি বর্তমানে টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির সর্বোচ্চ রিপোর্ট করা হার অর্জন করেছে। ২০২২ সালের ৪ জুন নিউঅরলিন্স, এলএ-তে অনুষ্ঠিত আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন (ADA)- এর ৮২-তম বৈজ্ঞানিক সেশনে ডিজিটাল রেপ্লিকা প্রযুক্তির ব্যবহার উপস্থাপিত হয়েছিল।
এই প্ল্যাটফর্মটি বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ ডিভাইস যেমন গ্লুকোজ মনিটর, সেন্সরঘড়ি, রক্তচাপ মিটার, স্মার্টস্কেল, এবং রোগীর খাদ্য তালিকা সংক্রান্ত তথ্যের সাথে সংযোগ স্থাপন করে থাকে। উত্তরা ও এর আশেপাশের এলাকার রোগীরা ক্রিসেন্ট ডায়াবেটিস রেমিশন এবং ওয়েলনেস সেন্টারে এসে অত্যাধুনিক এআই-সক্ষম টুইন প্রিসিশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যাটফর্মে নথি ভুক্ত করার সুযোগ পাবেন।
প্রযুক্তির মাধ্যমে এআই এবং আইওটি একত্রিত করে, প্ল্যাটফর্মটি প্রতিটি রোগীর স্বতন্ত্র মেটাবোলিক প্রোফাইলের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রদান করে। প্রযুক্তি চারটি পর্যায়ের মাধ্যমে বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: ১. রক্তে শর্করার স্থিতিশীলতা: রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। ২. দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার অপ্টিমাইজেশন: কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার সঠিক ব্যবস্থাপনা।৩. অঙ্গের অপ্টিমাইজেশন: লিভার, কিডনি এবং অগ্ন্যাশয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির কার্যকারিতা উন্নত করা। এবং ৪. বিটা সেল রিঅ্যাক্টিভেশন এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের উন্নতি: অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করা এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ানো।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS