আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানে তেল বা পারমাণবিক স্থাপনার পরিবর্তে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় ইসরাইল। বাইডেন প্রশাসনকে এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
মধ্যপ্রাচ্য পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ প্রতিরোধের কথা বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সব পক্ষ। এ কারণে ইসরাইলকে সীমিত আকারে পাল্টা হামলার পরামর্শ দিয়েছে মিত্র দেশগুলো। কিন্তু এ আশঙ্কাও রয়েছে, মিত্রদের পরামর্শ নেতানিয়াহু সরকার শুনবে কি না। কারণ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রভাব বাড়াতে মরিয়া নেতানিয়াহু। গত ১ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান। গত ছয় মাসের মধ্যে ইসরাইলে এটি ইরানের দ্বিতীয় সরাসরি আক্রমণ। এরপর প্রতিশোধমূলক হামলা হিসেবে ইরানকে চরম পরিণতি ভোগের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে তেল আবিব। ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, ইরানে হবে প্রাণঘাতি, তীব্র মারাত্মক এবং বিস্ময়কর।
এরইমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রকাশ্যে বলেছেন যে, তিনি পারমাণবিক সম্পর্কিত স্থাপনায় ইসরাইলি হামলাকে সমর্থন করবেন না। মার্কিন নির্বাচনের এক মাসেরও কম সময় আছে, এরমধ্যে ইসরাইলে কোন প্রক্রিয়ায় ইরানকে জবাব দিবে, তা নিয়ে ওয়াশিংটনেরও দুশ্চিন্তা রয়েছে। গত ৯ অক্টোবর ইরানের বিরুদ্ধে হামলার ব্যাপারে ফোনালাপ করেন জো বাইডেন এবং নেতানিয়াহু। সেখানে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ইরানে সামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার পরিকল্পনার কথা জানান। একজন মার্কিন কর্মকর্তা এবং এর সঙ্গে পরিচিত একজন কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কথা জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলের পরিকল্পনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মতামত শুনি, তবে আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’ একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার মতে, মার্কিন নির্বাচনের আগে প্রত্যাশিত প্রতিশোধ নিতে চায় ইসরাইল। তবে মার্কিন নির্বাচনে যেন এটির প্রভাব না পড়ে সে দিকে লক্ষ্য রাখবে তেল আবিব।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, ইরানের তেল অবকাঠামোর ওপর হামলা হলে তেলের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে এবং সেটি আসন্ন ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে। যা বর্তমানে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ভোটের লড়াইয়ে প্রতিযোগিতা বাড়াতে পারে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।