ভিডিও

বগুড়ায় মশার উপদ্রব বেড়েছে, ব্যাপকহারে নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা চায় পৌরবাসী

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৪, ১১:০০ রাত
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৪, ১১:৩৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

হাফিজা বিনা : দিনে গরম থাকলেও রাতে গায়ে এখনও মোটা কাপড় জড়াতে হচ্ছে। এই আবহাওয়ার মধ্যেই বগুড়ায় প্রচন্ড মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বেশি সমস্যায় পড়েছে পরীক্ষার্থী ও রোজাদার মানুষেরা। বিকেলের পর থেকেই শিক্ষার্থীরা মশারী টাঙিয়ে তার ভেতর পড়ালেখা করছে ও  বয়স্ক  মানুষ রমজানের ইবাদত বন্দেগী করছেন।

অন্যদিকে অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ডেংগুর আশংকাও করছেন সবাই। এ অবস্থায় এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ বগুড়া পৌরসভার বিরুদ্ধে। এদিকে মশা নিধন কার্যক্রম আগামী রোববার থেকে শুরু হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর শীত মৌসুমের শেষের দিক থেকে শহর তো বটেই গ্রামেও মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত প্রায় দুই সপ্তাহে বগুড়ায় ব্যাপকভাবে মশা বেড়েছে। মশার প্রজনন রোধ করতে না পারার কারণে মশার বংশবিস্তার বেশি হচ্ছে বলে তাদের ধারণা।

মশার অত্যাচারে অতিষ্ট বগুড়া কলোনী এলাকার গৃহিনী শিখা বেগম জানান, তার মেয়ে চলতি এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। ছোট মেয়ে প্রাইমারীতে পড়ে। দু’জনই বিকেলের পর থেকে মশারীর মধ্যে বসে পড়ালেকা করে। গতকাল মঙ্গলবার তিনি আরও একটা মশারী কিনেছেন তার স্বামীর জন্য।

যার  ভেতরে বসে তিনি রমজানের পুরো মাস নামাজ- কালাম পড়বেন বলে। তিনি ক্ষোভের সাথে বললেন, শীত মৌসুমের শেষের দিকে মশার উপদ্রব বাড়ার বিষয়টি সবাই জানেন। তবুও এব্যাপারে পৌরসভার কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনা।

দুপুরের পর থেকেই কোত্থেকে যে মশা এসে ঘরের আনাচে-কানাচে ঘাপটি মেড়ে থাকে তা জানিনা। মশার কয়েল না জ্বালালে ঘরে-বাইরে টেকা দায় হয়ে পড়ে। মশার কয়েল জ্বালাবেন সে উপাই নেই, ঘরে অ্যাজমা রোগী আছে।

আবার ধোঁয়া ছাড়া কয়েল এবং এ্যারোসল জাতীয় মশা নিধন স্প্রে’র দামও অনেক বেড়েছে। সবার পক্ষে তা কেনা সামর্থের বাইরে বলে জানান শহরের সুত্রাপুর এলাকার বদিউল আলম। তিনি আরও জানান, শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত বিশাল বিশাল অট্টালিকা ওপরে উঠলেও  নাগরিক সুবিধা নেই পৌরবাসীর। প্রতি মাসে অন্তত একবার পুরো শহরে  মশা নিধনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত পৌরসভার। সেখানে গত ৫ মাসে এধরণের কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা এব্যাপারে বলেন, প্রায় ৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় বছরে দুই বার ১৫০ লিটার মশার ওষুধ ছিটানো হয়। বর্তমানে ২১টি ওয়ার্ডে এসব ওষুধ ছিটাতে ফগার মেশিন আছে ২৪টি।

মশার প্রজনন ঠেকাতে পৌরসভার ড্রেনগুলো ছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডের ঝোপ-জঙ্গল, বাড়ির পাশে আগামী রোববার থেকে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এতে মশার উপদ্রব কমে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS