স্পোর্টস ডেস্ক : ডোপবিরোধী বিধি ভাঙার দায়ে ফুটবল থেকে চার বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন জুভেন্টাসের ৩০ বছর বয়সী ফরাসি মিডফিল্ডার পল পগবা। নিষিদ্ধ হওয়ার খবর আসে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি)। জুভেন্টাস বিবিসিকে জানায়, এ দিন সকালে ডোপিংবিরোধী ট্রাইব্যুনাল থেকে তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। রায় পাওয়ার কয়েকঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামে পগবা লিখেছেন, নিষেধাজ্ঞার রায় মানতে পারছেন না। এ খবরে তার হৃদয় ভেঙে গেছে। ইতালির জাতীয় ডোপিংবিরোধী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া এই রায় ভুল। তিনি বলেন, পেশাদার খেলোয়াড়ি জীবনে যা কিছু অর্জন করেছি, তা আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
ইচ্ছাকৃতভাবে ডোপবিরোধী কোনো কাজ করেননি দাবি করে ফ্রান্সের ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার বলেন, যখন আমি আইনি বিধিনিষেধ থেকে মুক্ত হব, তখন পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে, কিন্তু আমি কখনই জেনেশুনে বা ইচ্ছাকৃতভাবে ডোপবিরোধী নিয়ম লঙ্ঘন করে এমন কোনো ওষুধ গ্রহণ করিনি। রায়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিলের ইঙ্গিত দিয়ে পগবা জানান, পেশাদার ক্রীড়াবিদ হিসেবে নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করে পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য কখনই কিছু করিনি। যে দলগুলোর হয়ে বা বিপক্ষে খেলেছি তাদের কোনো সতীর্থ ক্রীড়াবিদ ও সমর্থকদের অসম্মান বা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করিনি।
এর আগে, ২০ অগাস্ট সিরি-আয় উদিনেজের বিপক্ষে জুভেন্টাসের ম্যাচের পর দৈবচয়ন ভিত্তিতে পগবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ৩-০ গোলে জেতা ওই ম্যাচে বেঞ্চে থাকলেও তিনি খেলেননি। টেস্টে পগবার শরীরে উচ্চমাত্রার টেসটোস্টেরোনের উপস্থিতি পাওয়ায় সেপ্টেম্বরে তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। পরের মাসে এই ফুটবলারের ‘বি’ নমুনার টেস্টের রিপোর্টও পজিটিভ আসে। টেসটোস্টেরোন এমন এক হরমোন, যা অ্যাথলেটদের শক্তিবর্ধন করে।
উল্লেখ্য, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছয় মৌসুম কাটানোর পর ২০২২ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে পুরনো ঠিকানা জুভেন্টাসে ফেরেন পগবা। তবে তুরিনের ক্লাবটিতে যাওয়ার পর একের পর এক চোটে খুব বেশি ম্যাচ তিনি খেলতে পারেননি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।