সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতিকে শপথ পড়িয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিদের এই শপথ পাঠ করান।
এর আগে বুধবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে এই নিয়োগ দেন। শপথ গ্রহণের দিন থেকে এ নিয়োগ কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। নিয়োগ পাওয়া তিনজন হলেন বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
প্রধান বিচারপতিসহ বর্তমানে আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। আর তিন বিচারপতির নিয়োগ কার্যকরের মধ্য দিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল আট জনে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৮২ সালে ঢাকা জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী নিয়োগ পান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে (সম্মান) ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালের ২০ এপ্রিল মো. শাহিনুর ইসলাম মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালের ১৩ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। নড়াইল ও হবিগঞ্জের জেলা জজ হিসেবে এবং ঢাকার প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার হিসেবে ২০১০ সালে তিনি নিয়োগ পান। ২০১২ সালের ২২ মার্চ তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান মো. শাহিনুর ইসলাম। দুই বছর পর তিনি স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পান। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি তাকে হাইকোর্ট বিভাগে ফেরত আনা হয়।
বিচারপতি কাশেফা হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলএম করেন। ১৯৯৫ সালের ১২ অক্টোবর জেলা আদালত এবং ২০০৩ সালের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।