সিলেট বিভাগে চলমান বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সিলেট জোনের প্রায় ১২ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে পিডিবির অধীনে ৩৩/১১ কেভি মোট ২১ টি উপকেন্দ্রের মধ্যে সকল উপকেন্দ্রই বর্তমানে চালু রয়েছে, যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রয়েছে।
সিলেটে বিভিন্ন শ্রেণির মোট গ্রাহক সংখ্যা ৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৯ জন। সর্বোচ্চ বিদ্যুতের চাহিদা ২২৫ মেগাওয়াট। চলমান বৃষ্টিপাত ও উজান হতে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার প্রভাবে ৩৩/১১ কেভি ২১টি উপকেন্দ্রের মধ্যে ৭টি উপকেন্দ্রের ভেতরে পানি প্রবেশ করলেও নিরাপদ দূরত্বে থাকায় উপকেন্দ্রসমূহ চালু অবস্থায় রয়েছে।
বিতরণ জোনের আওতাধীন সব এলাকাই কম-বেশি বন্যা কবলিত হওয়ায় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক জায়গায় ট্রান্সফরমারের ফিউজ কেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও, অনেক বসতবাড়িতে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে মিটার পর্যন্ত চলে আসায় বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপত্তার স্বার্থে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এ সব কারণে বিতরণ জোনের প্রায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছেন। বন্যার পানি কমলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ যার যার অবস্থান থেকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। বিতরণ জোনের আওতাধীন সকল এলাকাই কম-বেশি বন্যা কবলিত হওয়ায় বন্যার পানি কমার পর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য নিরূপণ করা সম্ভব হবে।
এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগ সার্বিকভাবে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সদা সতর্ক রয়েছে। কোথাও ছেড়া বৈদ্যুতিক তার দেখলে নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে অবহিত করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।