এবার ঢাকায় রিকশাচালকদের মিছিল
এক দফা দাবিতে রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এতে স্বাগত জানিয়ে ঢাকার রাস্তায় নেমেছেন রিকশাচালকরা। ৫০০ শতাধিক রিকশাচালক ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিয়ে শাহবাগের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন।
রোববার (৪ আগস্ট) ঢাকার গুলিস্তান থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর পল্টন, প্রেসক্লাব হয়ে শাহবাগের দিকে যেতে থাকেন তারা। তাদের মিছিলে বেশ কিছু যাত্রীও উঠে যান। তারাও রিকশাচালকদের সঙ্গে একই স্লোগান দিতে থাকেন।
অন্যদিকে এক দফা বাস্তবায়নের কর্মসূচি হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।
সকাল ১০টার পর থেকেই এ সমাবেশে সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ নানা পেশার মানুষ যোগ দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ওবায়দুল হাসান, লুৎফর রহমান, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই সিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, অধ্যাপক শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশিদ, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল মান্নানসহ পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
আরও পড়ুনসমাবেশটি সঞ্চালনা করছেন বিএফইউজে ও বিএসপিপি’র মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ১১টা) পেশাজীবী সমাবেশটি এরই মধ্যে প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা থেকে দুইদিকে সম্প্রসারিত হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে অংশ নিচ্ছেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবির এক দফা ঘোষণা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সঙ্গে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানানো হয়। এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। সর্বশেষ গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১৩ ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল ছিল।
মন্তব্য করুন