‘কৃষিপণ্য স্পেশাল’ ট্রেন উদ্বোধনের পরের ট্রিপেই বন্ধ ঘোষণা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে আশানরুপ সাড়া না মেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ঢাকা রুটে গত ২৬ অক্টোবর উদ্বোধন হয়ে সম্পূর্ণ খালি যাওয়া কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন পরের ট্রিপ আজ শনিবার (২ নভেম্বর) থেকে বন্ধ ঘোষণা করেছে রেলওয়ে।
ট্রেনটি সপ্তাহে একদিন প্রতি শনিবার চলার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি রহনপুন স্টেশন ছেড়ে যায়নি। পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন গত শুক্রবারই ট্রেনটি আর না চালানোর তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কৃষকদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে চেষ্টা করা হলেও পশ্চিমাঞ্চল রেলের অধীনে চালু হওয়া ৩টি কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন চলাচলে যথেষ্ট সাড়া পওয়া যায়নি।
এ কারণে আপাতত: রহনপুর ও প্রতি বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন থেকে চলাচলকারী ট্রেন উদ্বোধনের পরের ট্রিপেই বন্ধ করা হচ্ছে। তবে ট্রেন দু’টি চূড়ান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলের অধীনে খুলনা থেকে প্রতি মঙ্গলবার ঢাকা পর্যন্ত যাত্রা শুরু করা অপর কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন ইতোমধ্যে দুই ট্রিপ চলেছে।
এই ট্রেনটির আরও চলবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আসেনি। নাসির উদ্দিন বলেন, একটি ট্রেনই ঘুরে ঘুরে সপ্তাহে একদিন করে অর্থ্যাৎ শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার রহনপুর, খুলনা ও পঞ্চগড় থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। রহনপুর স্টেশন মাস্টার মামুনুর রশিদ পাকশীর চীফ কন্ট্রোলারের বরাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চলাচলকারী কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার কথা নিশ্চিত করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আমনুরা জংশন স্টেশন মাস্টার হাসিবুল হাসানও বিষয়টি পাকশী কন্ট্রোলের বরাতে নিশ্চিত করেন। রাজশাহী স্টেশন ম্যানেজার শহিদুল আলম বলেন, প্রথম ট্রিপে তেমন কোন আয় না হওয়ায় উচ্চ খরচের ট্রেনটি দ্বিতীয় ট্রিপ থেকেই বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনস্টেশন কর্মকর্তারা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পাঁচ মৌসুম ধরে চলাচলকারী ম্যাংগো স্পেশাল ও চার মৌসুম ধরে চলাচলকারী ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের মতই নিয়মকানুনে ট্রেনটি চলা শুরু করে। তবে ট্রেনটির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করেও আশানুরুপ সাড়া মেলেনি।
এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চাষীরা ট্রেন চালুর সময় বলেন, পণ্য একবার জমি থেকে পরিবহন খরচ দিয়ে স্টেশনে। এরপর কুলি খরচ দিয়ে ট্রেনে উঠানো। আবার ট্রেন থেকে ঢাকায় অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ কুলিচার্জ দিয়ে নামানো। আবার পরিবহন খরচ দিয়ে মোকামে নেয়া।
সেখান থেকে বাজারে নেয়া। ব্যবসায়ীদের হিসেবে রহনপুর থেকে দুই বা আড়াই টাকার ট্রাকের মোট পরিবহন খরচের তুলনায় ট্রেনে তিন টাকার বেশি খরচে তাদের পোষাবে না।
মন্তব্য করুন