রাজশাহী প্রতিনিধি : সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারা, সাবেক সাংসদ ও স্বাচিপ নেতা প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানসহ ২৭০ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে চক জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেন বাদি হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ জনকে। এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুত কুমার সরকার, দেলুয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর ও ঝালুকা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইমরান আলী।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও সাবেক এমপি ডা. মনসুর রহমান ছাড়াও মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুজ্জামান শরিফ, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সরদার, পৌরসভার সাবেক মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ফিরোজ, দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজাহার আলী, মাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট, কিসমত গণকৈড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার আলী ও নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।
আব্দুল ওয়াদুদ দারা রাজশাহী-৫ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত আব্দুল ওয়াদুদ দারা। এরপর সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন আব্দুল ওয়াদুদ দারা।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোগিতাকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে দুর্গাপুর উপজেলা সদরের মেডিকেল মোড়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে বোমাবাজি করে নাশকতা সৃষ্টি করেন আসামিরা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাছ আলী, কিশমত গনকৈড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।