ভিডিও

বস্তায় আদা চাষে লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন শাহারুলের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪, ০৮:২৯ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪, ০৮:২৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : নিভৃত গ্রামাঞ্চলের আদর্শ কৃষক শাহারুল প্রামাণিক অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এবার নতুন করে বস্তায় আদা চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে আদার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় এখান থেকে লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন বুনছেন তিনি। সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দ মোজাহিদপুর গ্রামে দেখা যায় সারি সারি বস্তায় আদা গাছের সবুজের সমাহার।

এসময় কৃষক শাহারুল প্রামাণিক ব্যস্ত ছিলেন পরিচর্যায়। জানা যায়, গ্রামের মৃত রমজান আলী প্রামাণিকের ছেলে শাহারুল প্রামাণিক কৃষি ফসল উৎপাদন করেই সংসারের মৌলিক চাহিদা পূরণ করেন। বসতবাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৯ শতক জায়গায় ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেন। একপর্যায়ে স্মার্ট প্রযুক্তিতে বস্তায় আদা চাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় মধ্যে গত চৈত্র মাসে ১ হাজার ৭শ’ বস্তায় মাটি ভর্তি করে এর ভেতরে আদাবীজ রোপণ করেন। জমির ছায়াযুক্ত স্থানে সারিবদ্ধভাবে বস্তা বসিয়ে এ আদা চাষ করা হয়েছে। এতে ৭২ কেজি বীজ রোপণ করা হয়। এরইমধ্যে আদার বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। আসছে পৌষ-মাঘ মাসে প্রায় ১ হাজার কেজি আদা ঘরে তোলার লক্ষ্যমাত্রা তার।

কৃষক শাহারুল প্রামাণিক জানান, স্থানীয় বাজার থেকে সারের খালি বস্তা ও ট্রাকভর্তি বেলে দো-আঁশ মাটি কিনেছেন। প্রত্যকটি বস্তায় পরিমাণ মতো জৈব-রাসায়নিক-কম্পোস্ট সার ও দানাদার কীটনাশক মিশিয়ে বস্তাপ্রতি ২-৩টি করে আদা রোপণ করেন। এতে ফসল উৎপাদন পর্যন্ত বীজ-সার-শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচ প্রায় ৩৩ হাজার টাকা।

ফলন ভালো পাওয়া গেলে প্রায় সোয়া ১ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।  সাদুল্লাপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন মন্ডল বলেন, সাধারণভাবে আদা চাষের চেয়ে বস্তা পদ্ধতিতে চাষ করা অনেকটাই লাভজনক। এ নিয়ে অন্যান্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। একই সাথে কৃষক শাহারুল প্রামাণিককে লাভবান করতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS