ভিডিও

রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ সদস্যরা রিমান্ডে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ১১:৪৯ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০২:২৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

মফস্বল ডেস্কঃ রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই পুলিশ সদস্যের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এরা হলেন তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আসাদুজ্জামান শুনানি শেষে এ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে পিবিআই পুশিলের পক্ষ থেকে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।  

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।এর আগে সোমবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন থেকে অভিযুক্ত এ দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-য্বুলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়। 

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে ছাত্র নামধারী সুবিধাভোগী রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনরত দুর্বৃত্তগণ বিভিন্ন দিক থেকে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ও তাদের নিকটে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র হতে এলোপাতাড়ি গুলি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশও এপিসি গাড়ির মধ্য হতে কং/১১৮৬ সোহেল তার নামীয় সরকারি ইস্যুকৃত শটগান হইতে ১৬৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ফায়ার করে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে বলা হয়, বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোঁড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সহপাঠীরা ধরাধরি করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

পরে ১৮ আগস্ট নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ নিরস্ত্র, একা থাকা ও পুলিশের জন্য কোনো হুমকি না হওয়া সত্ত্বেও শটগান দিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে গুলি করে পুলিশ। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকবার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও আসামিরা পরিকল্পিতভাবে নৃশংসভাবে গুলি করেন। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন দুপুর দুইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে আবু সাঈদ পিছু না হটে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে যান।পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলাটি তাজহাট থানা থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS