ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : চোরাচালানের নিরাপদ রুট হচ্ছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্ত এলাকা। মাদকের ব্যবসায় পাশাপাশি স্বর্ণ ব্যবসায় পরিণত হয়েছে এ উপজেলায় সীমান্তে পয়েন্টগুলো। প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে এ সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারীরা বেপরোয়াভাবে কোটি কোটি টাকার চালান আনা নেয়া করছে।
ফুলবাড়ী সীমান্ত ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী ও কাশিপুর ইউনিয়ন ভারতীয় সীমান্তের কাটাতারে বেড়ার সীমানা মধ্যে পড়েছে। এ চারটি ইউনিয়নে সীমান্ত এলাকা রয়েছে ৩৬কিলোমিটার।
এসব সীমান্তের পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন পার হচ্ছে গাঁজা, ফেনসিডিল, ইস্কাপ, ইয়াবা। তার মধ্যে বড় বড় চালানগুলো পার হচ্ছে গোরুক মন্ডব, গজেরকুটি বালাটারী, কুরুষা ফেরুষা, খালিশা কোটাল, নাখারজান, কাশিয়াবাড়ী, নাজীরহাট, ধর্মপুর ও অনন্তপুর হাজীটারী।
এর মধ্যে গত সোমবার ৬৭ লাখ টাকার ৫টি স্বর্ণবার ও ১৬ মাসে আগে দেড় কোটি টাকার ১৪টি স্বর্ণের বারসহ মোট ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার স্বর্ণবার উদ্ধার করেছে বিজিবি। এদিকে ফুলবাড়ী থানায় ৯ মাসে মাদক মামলা হয়েছে ৯৪টি। গাঁজা উদ্ধার হয়েছে ৯১৬ কেজি। ফেনসিডিল জব্দ হয়েছে ৭৫৩টি। হেরোইন ১শ’ গ্রাম ইস্কাপ ৯৯৭টি ও ইয়াবা এক হাজার ৬৩৬ পিস।
কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক জানান, উপজেলার নাওডাঙ্গা ও কাশিপুর ইউনিয়নে মাদক কেনাবেচা একটু বেশি হয়। দূর দূরান্ত থেকে মাদকসেবন করতে আসা আনাগোনা ৫টার পর বেশি দেখা যায়। পুলিশের টহল জোরদার করলে মাদকের কেনাবেচা নিয়ন্ত্রণ হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও নন্দেরকুটি জোম্মারপার এলাকার বসবাসকারী আবু বক্কর সিদ্দিক আবু জানান, মাদক সেবনকারীদের দাপটে চলাফেরা করা খুব কষ্টকর হয়েছে। আমাদের সন্তানদের ভবিষৎ নিয়ে চিন্তিত। এখনেই মাদক নিধন করা না হলে কয়েক বছরের মধ্যে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত হবে যুব ও তরুণ সমাজ।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নওয়াবুর রহমান জানান, প্রতিদিনই তাদের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি ফুলবাড়ী থানায় যোগদান করার পর ব্যাপক মাদক উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সচেতন মানুষ যদি পুলিশবাহিনীকে সহযোগিতা করে সহজেই মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।