ভিডিও

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার গোবিন্দপুরের ইরামতি খালে ব্রিজ না থাকায় দুর্ভোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ০১, ২০২৪, ১১:১৮ রাত
আপডেট: নভেম্বর ০১, ২০২৪, ১১:১৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভূঁইপুর গ্রামের ইরামতি খালের উপর একটি ব্রিজ না থাকায় এলাকার মানুষকে ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। একটি ব্রিজের জন্য ৬ থেকে ৭ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 
উপজেলার নিভৃত পল্লী এলাকা গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভূঁইপুর গ্রাম মাঝে খাল খালের ওপারে মুথুরাপুর গ্রাম।  ইরামতি খাল ভুঁইপুর আর মুথুরাপুর গ্রামকে দু’ভাগে বিভক্ত করেছে। ভূঁইপুর গ্রামের ফজলুর রহমান, মিজানুর রহমান, গৃহবধু চুমকী, মুথুরাপুরের রফিকুল ইসলাম, পল্লী চিকিৎসক আলহাজ্ব নাজিমুদ্দীন, আজিজুল হকসহ আরও অনেকে জানান, গ্রামের এই খালের ওপারে মুথুরাপুর ও আলতাফনগরের স্কুল, সরকারি কলেজ, মাদ্রাসা ও হাট-বাজার সহ আলতাফনগর রেল স্টেশন রয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এই ইরামতি খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের।

বহুবার জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারনায় এসে অনেক জনপ্রতিনিধি খালটির উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও, নির্বাচিত হয়ে আর কেউ কথা রাখেনি। গ্রামবাসী দীর্ঘদিন যাবত স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁশ দিয়ে খালটির উপর অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করে অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করে আসছে। এবার বর্ষা মৌসুমে বাঁশের ওই ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে। কচুড়িপানার উপর একটি বাঁশ দিয়ে তার উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে দু’গ্রামের মানুষ চলাচল করছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার রুহুল আমিন জানান, প্রায় ১২ বছর আগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে উক্ত ভূঁইপুর মুথুরাপুর গ্রামের মাঝে ইরামতি খালের দু’পাশে রাস্তার জন্য মাটি ভড়াটের কাজ করেছে। গ্রামবাসী এই খালের উপর ব্রিজের আশায় রাস্তা চওড়ার জন্য নিজেদের জমির দু’পাশে ছেড়েও দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেই আশা পূরন হয়নি।

এদিকে গ্রামবাসী স্বেচ্ছায় নির্মিত পুরাতন বাঁশের ব্রিজটি বর্ষার সময় কচুড়িপানার চাপে ভেঙ্গে যাওয়ায় তা আর নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে প্রায় ১শ’টি বাঁশ লোহা ক্রয় করা হয়েছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই শ্রমিক লাগিয়ে বাঁশের ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন মল্লিক জানান, তিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উক্ত খাড়ির উপর ব্রিজ বা সেতু নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে উক্ত খাড়ির উপর ব্রিজ নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ব্রিজটি নির্মাণের জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যোগাযোগও করছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS