ফরিদপুরের নগরকান্দায় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রবিউল ইসলাম (২৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। পরে দমকল বাহিনীর একটি দল এসে আগুন নেভায়।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের মাশাউজান এলাকায় ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় একলাছ উদ্দিন শেখ ওরফে সুমন (৩০) নামের আরেক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রবিউল ইসলাম ফরিদপুর সদর উপজেলার কেশবনগর গ্রামের কলম শেখের ছেলে। আহত একলাছও একই গ্রামের বাসিন্দা।
নগরকান্দা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার মো. শরিফুল ইসলাম জানান, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি শত শত জনতা মহাসড়কে গাছের গুড়ি ফেলে মহাসড়কটি অবরোধ করে রেখেছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করতে গেলে জনতা বাধা দেয়। তাদের দাবি মৃতের স্বজন না আসা পর্যন্ত মরদেহ ধরা যাবে না। মৃতদেহটি সড়কের মাঝে পড়ে ছিল। পরে জনতাকে বুঝিয়ে এবং হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। পরে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাসে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা মরদেহ উদ্ধার নিয়ে ব্যস্ত। বাসটি মরদেহ থেকে ৩০ ফুট দূরে ছিল। ওই সময় এলাকায় প্রচুর জনসমাগম ছিল। হঠাৎ জনতা আগুন আগুন বলে চিৎকার করে ওঠে। পরে আমরা দেখি বাসে আগুন জ্বলছে। এরপর দমকল বাহিনী আগুন নেভায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহেল বাকি বলেন, বাস মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মোটরসাইকেল বাসের ডান পাশের চাকার নিচে চলে যায়।
‘বাসে কেউ আগুন ধরিয়ে দেয়নি’ দাবি করে এসআই আব্দুল্লাহেল বাকি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকের ঘর্ষণ থেকে বাসে আগুন লাগে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। একই সঙ্গে বাস ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।