করতোয়া প্রতিবেদন প্রকাশের পর
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : দৈনিক করতোয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কৃষকের ঘরে ঘরে অজ্ঞাত রোগে গরু মৃত্যুর কারণ খুঁজতে প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসক দল মাঠে নেমেছেন। রোগাক্রান্ত গরুর লক্ষণ কেমন ছিল কৃষকের কাছ থেকে তার বর্ণনা শুনে চিকিৎসক দল প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছেন খুরা রোগে গরু মারা যাচ্ছে।
সরেজমিন কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ করে ১৫ দিন ধরে এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের গরু মারা যাচ্ছে। আক্রান্ত গরুগুলো রোগ নির্নয়ের আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এরমধ্যে ধুনট পৌর এলাকার পশ্চিমভরণশাহী গ্রামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে লিটন মাহমুদের ১টি, রাজু আহম্মেদের ৩টি ও শাহীন আলমের ১টি গরু মারা গেছে।
এতে তারা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত এসব গরুর মুখ দিয়ে লালা ঝরা, দুর্বলতা ও কিছু না খাওয়া ছিল লক্ষণ। পরে ঘাড়বাঁকা হয়ে মারা যায় আক্রান্ত গরু। এ অবস্থায় কৃষককেরা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করে কোন প্রতিকার পায়নি। বাধ্য হয়ে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে গরুগুলো সুস্থ করে তুলতে পারেনি।
এ বিষয়ে ১২ মার্চ করতোয়ায় ধুনটে বিনা চিকিৎসায় অজ্ঞাত রোগে মারা যাচ্ছে গরু, দিশেহারা কৃষক-শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের।
তারা গরুর রোগ নির্নয়ের পাশাপাশি কৃষকদের সচেতন করতে প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। গবাদিপশু পালনকারীদের নিয়ে উঠান বৈঠক করছেন। গরুর রোগ প্রতিরোধে প্রতিশেধকের ব্যবস্থা করছেন। এছাড়া গরু আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।
বগুড়া জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. আনিছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অজ্ঞাত রোগে নয়, খুরা রোগে আক্রন্ত হয়ে গরুগুলো মারা গেছে। এ বিষয়ে প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের চিকিৎসক দল সরাসরি কৃষকদের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মাধ্য এ সমস্যার সমাধান হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।