ভিডিও

বগুড়ায় হাড্ডিপট্টি টার্মিনালের যাত্রীদের রাস্তার দাবিতে ৩ ঘন্টা অবরোধ (ভিডিওসহ)

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ১০:২০ রাত
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৪, ১০:২০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শহরের হাড্ডিপট্টি আন্ত:থানা বাস টার্মিনালের যাত্রী সাধারণের চলাচলে সেউজগাড়ী আমতলা এলাকায় রেলের জায়গায় পায়ে হাঁটার রাস্তার দাবিতে তিন ঘন্টা ব্যাপী অবরোধ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ওই মোড়ে স্টেশন রোডে এই অবরোধ কর্মসূুচিতে অংশ নেন পরিবহন বাস মালিক-শ্রমিকগণসহ এলাকাবাসি। অবরোধ চলাকালে সেখানে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় সেখানে স্কুলবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে শিক্ষার্থী ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।


রেল সূত্র জানায়, বগুড়া রেল স্টেশনের মান উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য স্টেশনের উত্তর ও দক্ষিণপাশে সীমানা প্রাচীর ও লোহার বেড়া দেয়া হচ্ছে। এজন্য নিরাপত্তার স্বার্থে পকেট গেইটগুলোও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় সকালে হাড্ডিপট্টি বাস টার্মিনালের উত্তর-পশ্চিমপাশে রেলের কোয়ার্টারের পাশে  এবং টার্মিনালের উত্তরপাশে সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে স্বপনের গ্যারেজের সামনে পকেট গেইট বন্ধ করার উদ্যোগে নেয়া হয়। কিন্তু এতে কিছু লোক বাধা দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ কাজ থেমে দেয়।

পরে পুলিশ, রেলের নিরাপত্তা কর্মীদের সহযোগিতায় ফের এই কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয়া হলে স্থানিয় লোকজন ও মোটর মালিক ও শ্রমিকগণ বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে এবং সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে স্টেশন সড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা যাত্রী সাধারণ ও স্থানিয়দের চলাচলের জন্য ওই দুটি স্থানে পায়ে হাঁটার জন্য রাস্তা দাবি করে।

স্থানিয়রা জানান,দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে। অবরোধ চলাকালে সেখানে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ও স্টেডিয়াম ফাঁড়ির পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। এ সময় মোটর মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এসেও পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে। পরে রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আস্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেয়।


এ ব্যাপারে বগুড়া মিনিবাস-বাস ও কোচ মালিক সমিতি’র কার্যকরি সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, হাড্ডিপট্টি টার্মিনাল থেকে যাত্রী সাধারণের চলাচলের জন্য রেলের ওই স্থানে ৩-৪ ফুট  চওড়া একটি করিডোর প্রয়োজন।

এজন্য স্থানীয়রা ও মালিক-শ্রমিকরা সেখানে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। তিনি বলেন এ ব্যাপারে তিনি রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিইএন) এর সাথে কথা বলেছেন। ডিইএন সেখানে পায়ে চলার মত রাস্তার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। সেই আশ্বাস দেয়ার পর অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে।
রানা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS