ভিডিও

আদমদীঘির নসরতপুর কলেজপাড়াবাসীর যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০৯:২১ রাত
আপডেট: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০৯:২১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমীঘি উপজেলার নসরতপুর কলেজপাড়ায় বসবাসকারি মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলবর রহমানের পরিবার, প্রতিবন্ধী পরিবারসহ প্রায় ২৫টি পরিবার বসবাস করলেও তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ, গর্ভবতি নারী বা অসুস্থ রোগী বহনে বিঘ্ন ঘটছে। এব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে ছানোয়ার হোসেন আদমদীঘি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর কলেজের মাঠ সংলগ্ন পশ্চিমে কলেজপাড়ায় প্রায় ২৫টি পরিবার মাটি ও কিছু ইট দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ওই পাড়ার যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা জনৈক আবু বক্কর ছিদ্দিকের বিল্ডিংয়ের উত্তর পাশ দিয়ে ও জনৈক হবিবর রহমানের পুকুরের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে কলেজের শহীদ মিনার থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম দিলবরের বাড়ি পর্যন্ত দুই ফিট চওড়ার মাত্র একশ’ গজ দূরত্ব যাতায়াতের রাস্তা রয়েছে।

জনৈক আবু বক্কর ছিদ্দিকের বাসার উত্তরে চলাচলের রাস্তায় বেশ কিছু গাছ রয়েছে। যা কলেজপাড়ার বাসিন্দাদের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। এ ছাড়া পাশের পুকুরে পাড় না রাখায় পুকুরে পানি ভরাট করে মাছচাষ করায় পানির ঢেউয়ে পাশের বাসা বাড়ি সীমানা ভেঙ্গে যাচ্ছে। এদিকে কলেজপাড়ায় যাতায়াতের ১শ’ গজ দৈর্ঘ্যরে  রাস্তাটি ২ ফুট চওড়া মাত্রএ কারণে ওই রাস্তা দিয়ে একজন মানুষ চলাচল করলে অপর দিক থেকে আসা অপরজন মানুষের ক্রস করে চলাচল করতেও বাধাগ্রস্থ হতে হয়।

কলেজপাড়ায় বসবাসকারী মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে সানোয়ার হোসেন বলেন, যাতায়াতের রাস্তার উপড় থেকে ২টি গাছ অপসারণ করে রাস্তাটি পুরোপুরি চলাচলের উপযুক্ত না থাকায় এখান থেকে মৃত ব্যক্তির মরদেহ, গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ রোগী জরুরিভাবে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়না। রাস্তা থেকে গাছ অপসারণ ও চওড়া করে মাটি ভরাট করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের শরণাপন্ন হয়েও কোন ফল হচ্ছেনা।

আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে পুকুরের কিছু অংশে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে চলাচলের রাস্তা বাধাগ্রস্থ করলে আবু বক্কর ছিদ্দিক, আব্দুল কুদ্দুছ, আতিকসহ তাদের সাথে কথাকাটাটি হয়। তারা নানা ভাবে হুমকি দেয় ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় বাধ্য হয়ে কলেজপাড়াবাসীর পক্ষে তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করি। আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, পুকুরের পাড় ভরাট করে বাধলে গাছ অপসারণ করা হবে।

তবে পুকুরপাড় ভরা না করলে তার বাসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন। কলেজপাড়াবাসী তাদের যাতায়াতের একমাত্র একশ’ গজ দূরের রাস্তটি দিয়ে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি দূর করার জন্য প্রশাসনের নিকট আহবান জানান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS