ভিডিও

প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালকের মনোনয়ন প্রত্যাহার

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন দেলোয়ার

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৯:২৪ রাত
আপডেট: এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৯:২৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নাটোর প্রতিনিধি : বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে অপহরণ ও মারধরের শিকার নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সেই চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন পাশা। অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক মো. লুৎফুল হাবিব রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার বিষয়টি অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

তবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে দেলোয়ারকে। কেননা, সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন দু’জন প্রার্থী। যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফুল হাবিব রুবেল ও দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। ইতোমধ্যে লুৎফুল হাবিবের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

ফলে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে দেলোয়ার হোসেন এখন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। এমনই ইঙ্গিত প্রকাশ করে আজ রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান, এ বিষয়ে তিনি এখন কোনো মন্তব্য করতে চান না। বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত ইসি থেকে আসবে। তারপর এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কার্যালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বা ঘোষণা দেবে।

তবে যেহেতু দু’জন প্রার্থীর মধ্যে লুৎফুল হাবিব রুবেল তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে দেলোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার কথা। তিনি বলেন, আজ রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে প্রার্থী লুৎফুর হাবীব রুবেলের পক্ষে প্রত্যাহার পত্রটি জমা দিয়েছেন তার প্রতিনিধি সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন।

ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে তা পাঠানো হয়েছে। এখন ইসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। এদিকে সকালে এক ভিডিও বার্তায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন লুৎফুর হাবীব রুবেল। আর গত শুক্রবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে ফোনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য দেলোয়ার হোসেন ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেওয়ার জন্য বের হন। এ সময় তারা জরুরি প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে নেমে এলে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেয়। এ সময় তারা তাকে গাড়ির ভেতর বেদম মারধর করে।

পরে বিকেলে দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে (সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে রেখে চলে যায়। চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়। দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয় সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবীব রুবেলের।

পরে আহত দেলোয়ার হোসেনের ভাই বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে। এমনকি গ্রেফতাররা এ ঘটনার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেলের স্বপক্ষে সংশ্লিষ্টতার কথা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে স্বীকার করেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS