ভিডিও

রংপুরে জমি থেকে অপরিপক্ক আলু উঠানোয় উৎপাদন কমেছে

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ০৬:১৯ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ০৬:১৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : রংপুরে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ঊর্ধ্বমুখী ছিল আলুর দাম।  একপর্যায়ে সরকার পণ্যটির দাম নির্ধারণ ও আমদানির অনুমতি দিলেও তা কাজে আসেনি। যার প্রভাব পড়েছে চলতি মৌসুমে।

দাম বেশি থাকায় লাভের আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে আলু তুলেছেন কৃষক। চলতি মৌসুমে প্রতি হেক্টরে আলু উৎপাদন হয়েছে ২৮ দশমিক ৬০ টন। যেখানে গত বছর প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয়েছিল ৩০ দশমিক ১০ টন। অর্থাৎ ১ দশমিক ৫০ টন উৎপাদন কমেছে।

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ মৌসুমে জেলায় ৫৩ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে ৫৯৫ হেক্টর বেশি। আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬ লাখ ১১ হাজার ৩৫৪ টন।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের মার্চে আলুর দাম ছিল কেজি প্রতি ১৫ টাকা। চলতি বছর তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা। রংপুরের নব্দীগঞ্জ, মীরবাগ, কাউনিয়া, পাওটানা, হুলাসু, দেওতি, বড়দরগা, রঘু, মীরগঞ্জ, মাহিগঞ্জ, সাহেবগঞ্জ, দমদমা, ঠাকুরবাড়ী, মিঠাপুকুর এবং বৈরীগঞ্জে প্রচুর আলু উৎপাদন হয়।

শতাধিক ব্যবসায়ী এখানকার কৃষকের কাছ থেকে আলু কিনে কমিশনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেন। ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এসব এলাকা থেকে প্রতিদিনি ২০-২৫ ট্রাক আলু শিপমেন্টের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠানো হয়। এসব আলু সাধারণত শ্রীলংকা, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং সিঙ্গাপুরে রফতানি হয়।

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কৃষি কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান জানান, দেরিতে শীত আসা এবং কম সময়ে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হওয়ায় আলুর টিউবারের সংখ্যা কম ও আকারে ছোট হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS