বগুড়ায় শক্তিশালী বিস্ফোরণে আহত বুশরাকে ঢাকায় প্রেরণ
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের মালতিনগরে একটি বাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের রহস্যের জট খোলেনি। মজুদকৃত বিস্ফোরক নাকি গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।
তবে পুলিশ বলছে, ঘরে মজুদ করা বারুদ বা বিস্ফোরক থেকে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাড়ির মালিক পটকার কারিগর ও ব্যবসায়ী রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করেছে। বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র ওসি মো: মুস্তাফিজ হাসান জানান, পটকা মজুদ ও বিক্রি করার জন্য রেজাউল করিমের কোন লাইসেন্স নেই। অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে পটকা ও বিস্ফোরক তৈরিসহ কেনা-বেচা করে আসছিল বলে সে স্বীকার করেছে।
এ দিকে, বস্ফোরণে আহত তাসনিম বুশরার অবস্থা সংকটাপন্ন। জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে সে। মুমুর্ষূ অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে সুমাইয়া আক্তার (১৫) ও রাশেদুল ইসলামের ছেলে জিম(১৬) শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, শহরের মালতিনগর এলাকার ভাটকান্দি ব্রিজের কাছে গত রোববার রাত ৯টার দিকে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে রেজাউল করিমের বাড়ির তিনটি ঘরের চালা উড়ে যায়। ধসে পড়ে ঘরের দেওয়ালও। এর মধ্যে একটি ঘর ধূলিস্মাৎ হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশেপাশের আরও কয়েকটি ঘরের দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র। এ ঘটনায় ওই তিনজন শিশু আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে বুশরাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বগুড়া ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো: শহিদুল ইসলাম জানান, রাত ৯টা ৭ মিনিটের দিকে তারা খবর পর যে সেখানে গ্যাস সিলিন্ডর বিস্ফোরিত হয়েছে। এ খবর পেয়ে তারা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে দেখেন যে বাড়িটি বিস্ফোরণের কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু আসবাবপত্র ঝলসে গেলেও আগুন লাগেনি। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হওয়ার খবর পেয়ে তারা সেখানে গেলেও সেখানে সবগুলো সিলিন্ডার অক্ষত দেখা গেছে বলে তিনি জানান।
ডিবির ওসি আরও জানান,গ্রেফতারকৃত রেজাউল করিম তার কাছে স্বীকার করেছে যে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য তারা মাঝে মাঝে বড়-ছোট পটকা বানিয়ে থকে।এ জন্য মজুদ থাকা বারুদ বা অন্যান্য বিস্ফোরক প্রচন্ড গরমে বিস্ফোরিত হতে পারে। আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) রোববার রাতেই পুলিশ রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় রেজাউল করিমকে প্রধান আসামি করে থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বনানী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো:আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় রেজাউলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিস্ফোরণে ধংসস্তুপে পরিণত রেজাউলের বাড়ি থেকে আলামত হিসাবে সুতলি দিয়ে পেঁচানো ২৪০ পিস বিস্ফোরক, ৪০টি ছোট কাগজে মোড়ানো বিস্ফোরক তৈরির আলামতও জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।