সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়াস্থ ড. এনামুল হক কলেজ মাঠে সবজি বাগান করা হয়েছে। এতে একদিকে কৃষি উৎপাদন বাড়ছে, অন্যদিকে খেলার মাঠ বন্ধ করে সবজি চাষ করায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ভেলুরপাড়াবাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ড. এনামুল হক কলেজ ক্যাম্পাসে ৬০ শতক জায়গা জুড়ে বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি, মরিচ, বেগুন, কদর, ঢেঁড়স, টমেটো, লেবু, কলা গাছ লাগানো হয়েছে।
এছাড়াও কলেজ সীমানা প্রাচীরের মধ্যে বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। চাষ করা হচ্ছে করলা, কুমড়া, লাউ, মিষ্টিকুমড়ার গাছ। কলেজ সময়ে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এলাকার কৃষক কলেজ ক্যাম্পাসে এসে সবজি বাগান দেখে কৃষি ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদেরকে কৃষি ফসল উৎপাদন,কলাকৌশল ও পরিচর্চা করার পদ্ধতি হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ওই কলেজ ক্যাম্পাসে লাগানো শাক-সবজি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকার অভাবি-অসহায় দিন- মজুর মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এসে বিনামূল্যে এসকল কৃষি ফসল গ্রহণ করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পারভিন আক্তার, মৌসুমি খাতুন, নাজমিন আক্তার, তুষার মিয়া বলেন, আমাদের কলেজে কৃষি বিষয়ে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে শাক- সবজি বাগান করায় আমরা হাতে কলমে শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রম শিখতে সক্ষম হচ্ছি।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে সবজি বাগান করায় আমরা খেলাধূলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, ওই কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগটি ভালো।
এতে করে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। পতিত জায়গা কাজে লাগবে। ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও যাতে পতিতনা থাকে তার সেই ঘোষণার পর এবং শিক্ষার্থীদের কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ করতে কলেজ ক্যাম্পাসে সবজি চাষ করি।
আমাদের লাগানো শাক-সবজি শিক্ষার্থী ও এলাকার দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।