ভিডিও

তেঁতুলিয়ায় অনাবৃষ্টিতে ক্ষতির সম্মুখীন মরিচ চাষিরা

প্রকাশিত: মে ০৮, ২০২৪, ১০:৫৭ রাত
আপডেট: মে ০৮, ২০২৪, ১০:৫৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়ায় অনাবৃষ্টির কারণে মরিচ চাষিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবছর ৮ হাজার ৬৮৭ জমিতে উচ্চ ফলনশীল ও দেশীয় জাতের মরিচ চাষাবাদ হয়েছে।

উচ্চ ফলনশীল জাতের মধ্যে রয়েছে হাইব্রিড, হট মাস্টার, বিজলী, মল্লিকা, বারি ১-২, বাঁশ গাইয়া, বালুচরি ও বিন্দু। এসব জাতের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বারি ১-২, হাইব্রিড, মাস্টার মল্লিকা ভালো হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের মরিচের ক্ষেতে দিতে না পারায় গাছগুলো মরে যাচ্ছে। ফলে অনেক চাষি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের রনচন্ডী এলাকার মরিচ চাষি আমিরুল ইসলাম বলেন, এবছর তিন বিঘা জমিতে মরিচ চাষাবাদ করেছি। আশা ছিল ২শ’ থেকে আড়াইশ’ মণ আঁকা মরিচ (রেড গোল্ড) ফলন পাব। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে পোকামাকড় দমনের জন্য স্থানীয় বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে "কাপলাল" নামক ওষুধ স্প্রে করার পর অনেক মরিচের গাছে শীষ হয়েছে।

এসব গাছে কোন ফলন আসেনি। এছাড়া অনাবৃষ্টির কারণে মরিচের গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এবছর মরিচ চাষাবাদ করে প্রায় দু'লক্ষাধিক টাকার  ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ শুকনা মরিচ সাড়ে ৮ হাজার থেকে সাড়ে ৯ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক, কৃষিবিদ মো. আব্দুল মতিন বলেন, এ অঞ্চলের আবহাওয়া ফসল চাষাবাদের উপযোগী। তবে অনাবৃষ্টির কারণে কিছু চাষি মরিচের ফলন কম পেয়েছে। আবার যে সমস্ত চাষি মরিচ ক্ষেতে পানি সেচ দিয়েছে তারা ভাল ফলন পেয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষি কি অফিসের সাথে পরামর্শ না করে ওষুধ ফসলে স্প্রে করে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে "কাপলাল" ওষুধ  স্প্রে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS