শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে ১৩ বছরের শারীরিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বার ঘটনায় আরেক কিশোরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবা লেবু মিয়া বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলায় অভিযুক্ত কিশোরকে (১৫) গ্রেপ্তার করেছে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ওই কিশোরের বাড়ি উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীকে গত বছরের ২৯ অক্টোবর বড়ই খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় ওই কিশোর। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। পরবর্তীতে তার শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়।

এরপর গত ৭ মে কিশোরীকে স্থানীয় শেরপুর ফ্যামিলি ক্লিনিক এন্ড ডায়গনস্টিক হাসপাতাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় পরিবার। পরীক্ষায় কিশোরী গর্ভবতী হওয়ার চব্বিশ সপ্তাহ পার হয়েছে বলে জানানো হয়। পরে কিশোরীর কাছ থেকে ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পর তার বাবা বাদি হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত কিশোরের মা আনিছা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। এরপরও আমি ওই কিশোরীর পরিবারকে ডিএনএ টেস্ট করার জন্য বলেছি। সেখানে প্রমাণিত হলে তাকে পূত্রবধূ হিসেবে মেনে নেবো। কিন্তু সেটি না করে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দিলো।

এ নিয়ে আরও প্রশ্ন জোরালো হলো।’ জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আজ শনিবার (১১ মে) বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।