সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি : ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন মা সুবর্ণা, আর বাবা রাসেল দুবাই প্রবাসী। বগুড়ার সান্তাহারে নানির বাড়িতে থাকতো সোহান (১৪)।
ঢাকায় তার মাকে খুঁজতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে চারদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে সে। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করেও কোনো হদিস না মেলায় অবশেষে আজ সোমবার (২০ মে) দুপুরে তার নানি বুলবুলি বেগম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছোট বেলা থেকেই সান্তাহার ইউপির সান্দিড়া গ্রামের ব্যাপারীপাড়ায় নানির বাড়ি থেকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তো সোহান। তার দাদার বাড়িও একই গ্রামে। দুই বছর আগে বাবা রাসেল কর্মের জন্য বিদেশ যান। এরপর থেকে মা সুবর্ণা তার ছোট ভাইকে নিয়ে দাদার বাড়িতে থাকতো।
মাস খানেক আগে তিনিও কর্মের তাগিদে সোহানের কাছে তার ছোট ভাইকে রেখে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয়। এরপর থেকে সোহান ও তার ছোটভাই নানা-নানির কাছে ছিলো। কয়েক দিন ধরে মায়ের কথা মনে পড়ছিলো সোহানের। বিষয়টি তার নানীকে একাধিকবার জানায়। হঠাৎ শুক্রবার দুপুর ২টায় জিন্সপ্যান্ট ও সাদা শার্ট পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি।
নানি বুলবুলি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, তিনি ভেবেছিলেন বন্ধু বান্ধবের সাথে আশেপাশেই কোথাও গেছে সোহান। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তার মাকে বিষয়টি জানালে সেও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেয়।
অবশেষে নিরূপায় হয়ে তিনি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। ছেলেটি দেখতে শ্যাম বর্ণের, মুখমণ্ডল গোলাকার, লম্বায় ৪ ফিট। কোনো সহৃদয় ব্যক্তি ছেলেটির দেখা পেলে ০১৭৫৪-১৫৬৩৬৩ (নানা আব্দুস সাত্তার) এই নাম্বারে জানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, নিখোঁজ ডায়েরি পাওয়ার পর সোহানের সন্ধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।