ভিডিও

রাজশাহীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই নারীর চমক

প্রকাশিত: জুন ০৪, ২০২৪, ১০:২৭ রাত
আপডেট: জুন ০৪, ২০২৪, ১০:২৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রাজশাহী প্রতিনিধি : জীবনে কোনদিন নির্বাচন করেননি। তারপরও সাহস করে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন পপি খাতুন। প্রচার চলাকালে ছুটে বেড়িয়েছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। আরও তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে পপি বিজয়ী হয়েছেন।

আরেক প্রার্থী হাবিবা বেগমের লড়াইটা ছিল বেশ কঠিন। ছিল অনেক বাধা। সেসব অতিক্রম করে তিনি একাই পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৮৪ ভোট। তার তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রাপ্ত মোট ভোট ২৫ হাজার ১০৭টি। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে রাজশাহীর এ দুই নারী দুই উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ে চমক দেখিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে এ দুই উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। হাবিবা বেগম জেলার মোহনপুর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আর পপি খাতুন ছিলেন পবা উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। অনেকেই বলছেন, পপি খাতুনই এখন পর্যন্ত দেশের সর্বকনিষ্ঠ নারী ভাইস চেয়ারম্যান। তার জন্ম তারিখ ১৯৯৮ সালের ১২ জানুয়ারি। সে হিসেবে তার বয়স ২৬ বছর ৪ মাস ১৭ দিন।

পপির বাড়ি পবা উপজেলার হুজরিপাড়া ইউনিয়নের দারুশা গ্রামে। তার বাবার নাম সুকুর আলী। পপি এখনও বিয়ে করেননি। স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মী পপি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিনের পবা উপজেলার সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীও তিনি।

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে স্নাতকে পড়াশোনার পাশাপাশি একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও কাজ করেন পপি। উপজেলা ভোটে তার বিজয়ে বিষ্মিত অনেকেই।ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, ছাত্রলীগ কর্মী পপি খাতুন ২৪ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন।

উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান আরজিয়া বেগম ২২ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বীও তুমুল লড়াই করেছেন। এর মধ্যে চেন বানু ২২ হাজার ১৮ এবং হাসিনা খাতুন ২১ হাজার ৫৪৫ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে মোহনপুরের হাবিবা বেগম একাই পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৮৪ ভোট। তার তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর মোট প্রাপ্ত ভোট ২৫ হাজার ১০৭টি। এরমধ্যে ডলি আক্তার ৮ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে হাবিবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে সানজীদা রহমান ৬ হাজার ৯৯৮টি, রাবিয়া খাতুন ৫ হাজার ৮৬৪টি ও পলি রাণী ৩ হাজার ৯৩১টি ভোট পেয়েছেন। হাবিবার ধারে কাছে নেই কেউ।

হাবিবা বেগম মোহনপুরের সব মানুষের কাছেই পরিচিত। তার বাড়ি উপজেলার ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের সিংহমারা গ্রামে। হাবিবার স্বামীর নাম মাসুদ রানা। তিনি কেশরহাট বাজারে একটি ছোট্ট চায়ের দোকান চালান। হাবিবা আগে ঘাসিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ছিলেন। উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক নারী বিষয়ক সম্পাদকও তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS