অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
গাবতলী (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার গাবতলীতে সমাজ উন্নয়ন কর্ম (সার্ক) নামের এক এনজিও’র পরিচালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গাবতলী মডেল থানা মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী আশাদুল ইসলাম (৪০) গত ৩ জুন সমাজ উন্নয়ন কর্ম (সার্ক)’র নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম স্বপনসহ (৪৮) ৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ওই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের মাটিয়ানচড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আশরাফুল ইসলাম স্বপন সমাজ উন্নয়ন কর্ম (সার্ক) নামে ২০০৬ সালে একটি এনজিও গড়ে তোলেন। এনজিওটি ২০০৭ সালে নিবন্ধনপ্রাপ্ত হয়।
এরপর থেকেই তারা ক্ষুদ্র ঋণসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। দুর্গাহাটা ইউনিয়নের সোলারটাইর গ্রামের টুকু মন্ডলের ছেলে আশাদুল ইসলাম দুর্গাহাটা বাজারে একটি মুগরির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বাদি আশাদুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম (৫৫) ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর এক বছর মেয়াদে শতকরা ২০ ভাগ লাভে সমাজ উন্নয়ন কর্ম (সার্ক) এনজিওতে ৫ লাখ টাকা জমা রাখেন।
পরবর্তীতে গত ২০২৩ সালের ৮ মে তারিখে বাদি আশাদুল নিজেই এক বছর মেয়াদে শতকরা ১৫ ভাগ লাভে ওই এনজিওতে ৬লাখ ৯০হাজার টাকা জমা রাখেন। এতে বাদি এবং মায়ের মোট ১১ লাখ ৯০হাজার টাকা জমা রাখা হয় এবং সর্বমোট ২০ভাগ এবং ১৫ভাগ লাভসহ ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫শ’ টাকা বাদি পাওনাদার বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে। মোট ১১ লাখ ৯০হাজার টাকা জমা রাখার মেয়াদ এক বছর পার হলেও এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম স্বপনসহ কর্মচারীরা টাকা দিতে টালবাহানা করছে।
এর এক পর্যায়ে আশাদুল ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫শ’ টাকা নিতে গত ২৯ মে দুপুরে মাটিয়ানচড়া গ্রামে আশরাফুল ইসলাম স্বপনের সমাজ উন্নয়ন কর্ম (সার্ক) এনজিও অফিসে যায়। এনজিও অফিসে গিয়ে এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম স্বপনের কাছ থেকে সমুদয় টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে স্বপনসহ অন্যান্য কর্মচারী টাকা ফেরত দিবে না বলে জানিয়ে দেয়।
আবার টাকা চাইতে এলে বিভিন্ন হুমকি-ধামকিসহ হত্যার হুমকি দেয়। পরে ৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ৩জুন মডেল থানা একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলা করার রাতেই এলাকা থেকে ওই এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম স্বপন (৪৮), সার্ক’র ব্যাবস্থাপক আইয়ুব আলী লিটন (৪৮) ও মাটিয়ানচড়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে হিসাব রক্ষক রাসেল মিয়া (২৬)সহ ৩জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
গ্রেফতারকৃতদের গতকাল মঙ্গলবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এদর মধ্যে উপ-পরিচালক মাটিয়ানচড়া গ্রামের এনো মিয়ার ছেলে ছামছুল আলম (৫০) পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।