শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বগুড়ার শাজাহানপুরে বখাটেদের ছুরিকাঘাত ও মারপিটে গুরুতর আহত হয়েছেন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ তার পরিবারের তিন সদস্য। এসময় তানভীর নামের এক বখাটেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় এজাহার নামীয় ৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বেজোড়া গ্রামে। বাদি বেজোড়া মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আল আমিন ওরফে রনি (২২) জানিয়েছেন, তার বাবা বেজোড়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির একজন অভিভাবক সদস্য।
প্রায় ৫ মাস আগে তিনি লক্ষ্য করেন, বেজোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর আগে কিংবা স্কুল ছুটির পর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একদল বহিরাগত বখাটে প্রায়ই ছাত্রীদের উত্যক্ত করে। উত্যক্তের শিকার ছাত্রীদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাকের মেয়েও রয়েছে। এমতাবস্থায় বখাটেদেরকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করেন আব্দুর রাজ্জাক। এতে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়।
একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে আল আমিন ওরফে রনি (২২) কে জানায় তার বোন অর্থাৎ আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে বখাটেদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন নিয়েছে। তা ফেরত দিতে হবে। এ বিষয় নিয়ে আল আমিনের সাথে বাগবিতন্ডায় লিপ্ত হয় বখাটেরা। আল আমিন বগুড়া শহরের একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
এর এক পর্যায়ে আল আমিন তার কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে বখাটেরা তার পথ রোধ করে। আল আমিন তার বাবাকে ফোন করে পথরোধ করার বিষয়টি জানালে তাকে উদ্ধার করতে আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্বজনেরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে পৌঁছা মাত্রই আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই বেজোড়া মুন্সিপাড়া গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে আব্দুল মজিদ (৪০) কে ছুরিকাঘাত করে বখাটেরা।
এতে আব্দুল মজিদের পেট থেকে ভুড়ি বেড়িয়ে আসে। বখাটেদের মারপিটে আব্দুর রাজ্জাকও গুরুতর আহত হন এবং আল আমিনের ডান হাতের একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। তানভীর (২২) নামের এক বখাটেকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আটককৃত তানভীর বগুড়া শহরের মালতিনগর দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আহত আব্দুল মজিদ ও আব্দুর রাজ্জাক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রায়হান জানিয়েছেন, আটক তানভীরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।