স্টাফ রিপোর্টার : মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রার পারদ ৩৫ ডিগ্রীর নিচে নামছে না বগুড়ায়। তার সাথে যোগ হয়েছে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য। আবহাওয়াবিদরা জানান, তাপমাত্রার পারদ সহনীয় থাকলেও বাতাসে পানি যখন জলীয় বাষ্প হয়ে বাসা বাঁধে তখন মানুষ এবং প্রাণির গরমের কষ্ট বাড়ে। আবহাওয়ার এমনই নিয়ম।
গত কয়েক দিন ধরে বগুড়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যে বাতাস বইছে, তার সঙ্গে প্রচুর জলীয় বাষ্পও ঢুকছে। সারাদিন ধরে সূর্যের যে তাপ পড়ছে তা ধরে রাখছে জলীয় বাষ্প। ফলে গরমে অস্বস্তির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে গায়ে লাগছে।
দরদর করে ঘাম হচ্ছে। ঘরে-বাইরে স্বস্তি নেই। এতে করে পরিবেশে যে পরিমাণ তাপমাত্রা বিরাজ করছে তার চেয়েও বেশি গরম অনুভূত হয়ে হাঁসফাস উঠেছে জনজীবনে। এ অবস্থা চলবে আরও কয়েকদিন।
বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানান, আজ বুধবার (১২ জুন) বিকেল ৩ টায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭০ শতাংশ। সকাল ৬ টায় ছিল ৮৯ শতাংশ। ৯টায় ছিল ৮০ শতাংশ। এ ছাড়াও বগুড়ায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যদি কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৭০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে থাকে, এমন অবস্থাকে তীব্র কষ্টকর দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
অপর দিকে তাপমাত্রা যখন ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে এবং আর্দ্রতা ৫০ শতাংশের কম থাকে, এমন অবস্থাকে আরামদায়ক দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আবহাওয়াবিদদের মতে, শীতের সময় আর্দ্রতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত থাকলেও ঠান্ডা লাগে। কিন্তু গরমের সময় ৬০ শতাংশ আর্দ্রতায়ও প্রচন্ড গরম লাগে। কারণ, একে তো তাপমাত্রা বেশি থাকে, তার ওপর ঘাম না শুকানোয় গরম অনুভূত হয় আরও বেশি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।