শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি : শিবগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত জেরে শ্যামল কুমার প্রামানিক নামের এক ব্যক্তিকে মারপিট করে সাদা স্ট্যাম্প ও চেকবইয়ে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের মধ্য পাকুরিয়া গ্রামের শ্যামল কুমার প্রামানিকের সঙ্গে দুর্লভপুর কাজীপাড়া গ্রামের নাদিম মিয়ার (৩৫) জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো। এ ব্যাপারে আদালতে মামলাও চলমান। গত ৮ জুন দুর্লভপুর গ্রামের মেহরাজ কাজী (১৯) নামের এক ব্যক্তি শ্যামল কুমারকে ফোন করে বলে, দাদা তোমাকে সাথে নিয়ে আমি একটি হারমোনিয়াম কিনবো। পরিচিত হওয়ায় শ্যামল তার কথায় রাজি হন। পরে মেহরাজকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে রওনা হন শ্যামল। রাত পৌনে ৯ টার দিকে বড়িয়াহাট বামন দিঘির পশ্চিম পাড়ে পৌঁছিলে নাদিমসহ ৩/৪ জন শ্যামল কুমারের পথরোধ করে তাকে মারপিট করে। এসময় তাদের সাথে মারপিটে যোগ দেন মেহরাজ কাজীও।
একপর্যায়ে তারা শ্যামল কুমারের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১২ টি স্ট্যাম্প ও বেশ কয়েকটি চেক বইয়ে স্বাক্ষর নেয়। এসময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে নাদিম পালিয়ে গেলেও মেহরাজকে আটক করে গ্রামবাসী। পরে মেহরাজ বলে আমি নাদিমের কথায় শ্যামলকে কৌশলে এই স্থানে নিয়ে আসি। ঘটনার পর মেহরাজকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। ঘটনার পরেরদিন নাদিম ও মেহরাজকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন শ্যামল কুমার।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) শ্যামল কুমার সাংবাদিকদের জানান, "নাদিম আমার কাছ থেকে কয়েকটি চেক বইয়ে স্বাক্ষর নিয়েছে অথচ আমার কোন ব্যাংকে একাউন্ট খোলা নাই। মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আশিক ইকবাল জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজন আসামীকে ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।