ফেনীতে সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্বর জেরে মো. সুমন (২৩) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়নের রাণীরহাট বাজার সংলগ্ন আল আমিন একাডেমি স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সুমন কাজীরবাগ ইউনিয়নের অশ্বদীয়া গ্রামের মো.বশির আহাম্মদের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে কাজ শেষে রাণীরহাট বাজারে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন সুমন। এ সময় কয়েক দিন আগের বিরোধকে কেন্দ্র করে সুমনের সঙ্গে কয়েকজন যুবকের হাতাহাতি হয়। পরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন যুবক তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই মো. সোহেল বলেন, আমাদের পৈতৃক বাড়ি নোয়াখালী হলেও সুমন পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় গিনাগাজী ভ‚ঞা বাড়িতে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষে রাণীরহাট বাজারে গেলে এ ঘটনা ঘটে। আমি এ হত্যাকাÐের বিচার চাই।
কাজীরবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ বলেন, ছুরিকাঘাতে হত্যার খবর শুনে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়েছি। পরিবারের লোকজন বলছে সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্ব এ ঘটনা ঘটতে পারে। যারাই এমন নির্মম ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে চারজন যুবক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। নিহতের পিঠে ছুরি ঢোকানো ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালে আনয়নকারীদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিনিয়র-জুনিয়র দ্ব›েদ্বর বিষয়টি জানা গেছে।
ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।