স্টাফ রিপোর্টার : আবারও বিদ্যুৎএর লোডশেডিং বেড়েছে। আষাঢ়ের বৃষ্টিহীন ভ্যাপসা দিন ও রাতের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রতি এক ঘণ্টা পর পর লোড শেডিংয়ের কারণে কমেছে কলকারখানার উৎপাদন।
বগুড়ায় বিদ্যুৎএর চাহিদা এবং প্রাপ্তি নিয়েও মুখ খুলছেন না নেসকোর কর্মকর্তারা। কি কারণে কেন বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছেনা এমন প্রশ্নের জবাবে কর্তারা শুধু বলছেন, চাহিদার তুলনায় প্রাপ্যতা কম হওয়ায় লোড শেডিং দিতে হচ্ছে।
ধাপে ধাপে দফাই দফাই বিদ্যুৎএর দাম বাড়লেও কোন সুযোগ সুবিধা বাড়ছেনা। বরঞ্চ বিদ্যুৎ নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। দিন বা মধ্যরাত কোন সময়ই বাদ পড়ছে না লোড শেডিংয়ের কবল থেকে। লোড শেডিংএর ফলে রাতে ঘুম থেকে উঠে সাধারণ মানুষকে বাইরে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।
ঘনঘন বিদ্যুৎ যাওয়া আসার কারণে ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজ, এসি‘র মত মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে। বৈদুতিক অগভীর পানির পাম্প পুড়ে যাচ্ছে। পরিত্রান পাওয়ার কোন উপায় দেখছে না সাধারণ জনগণ।
লোডশেডিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, বিসিক বগুড়ার নেতৃবৃন্দ। শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িতরা জানান, প্লাস্টিক পণ্য যারা উৎপাদন করেন তারা বিপাকে রয়েছেন। মেশিন চালু করার পর বিদ্যুৎ চলে গেলে অনেক মেশিন বন্ধ হয়ে যায় এবং মেশিনের মধ্যে আটকে থাকা কাঁচামাল আর পরে ব্যবহার করা যায় না।
ফলে তাদের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দফাই দফাই বিদ্যুৎএর দাম বাড়ানো হচ্ছে কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পারছেনা নেসকো কর্তৃপক্ষ। প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা রোকসান হচ্ছে বিদ্যুৎ এর লোড শেডিংয়ের কারণে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।