ভিডিও

বগুড়ার শাজাহানপুরে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ফিরলেন আলিম পরীক্ষার্থী গৃহবধূ

প্রকাশিত: জুলাই ০২, ২০২৪, ০৮:০৯ রাত
আপডেট: জুলাই ০৩, ২০২৪, ১২:১২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শাজাহানপুরে আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে পরীক্ষা ক্ষেন্দ্রে ফিরলেন আলিম পরীক্ষার্থী এক গৃহবধূ। আর তাকে সহযোগিতা করেছেন ইউএনও মুহসিয়া তাবাসসুম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া সুলতানা।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রিকশাচালক বাবার ঘরে জন্ম নেয়া ওই শিক্ষার্থী ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় বেশ আগ্রহী। তবুও অস্বচ্ছল পরিবার তাকে দু’বছর আগে পাশের ইউনিয়নের একটি গ্রামে বিয়ে দেয়। সেখানে গিয়েও সে লেখাপড়া চালিয়ে যায়। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাতে অসন্তুষ্ট।

তাই সে যেন লেখাপড়া করতে না পারে সেজন্য তাকে সংসারের কাজের চাপে রাখে। অবশেষে বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে আলিম পরীক্ষার প্রথম দিন গত রোববার সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি চলে আসে ওই গৃহবধূ এবং পরীক্ষায় অংশ নেয়। সংবাদ পেয়ে পরদিন সোমবার শ্বশুর বাড়ির লোকজন কৌশলে ওই গৃহবধূকে নিজেদের বড়ি নিয়ে যায়।

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া সুলতানা জানান, গতকাল সোমবার রাতে স্বামীর সাথে আলাপ আলোচনায় গৃহবধূ বুঝতে পারেন তারা তাকে পরীক্ষা দিতে দিবেন না। এমতাবস্থায় রাতেই ওই গৃহবধূ মোবাইল ফোনে তার বাবার বাড়িতে জানান, পরীক্ষা দিতে না দিলে তিন আত্মহত্যা করবেন। এমন সংবাদ পেয়ে বাবার বাড়ির লোকজন শঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং বিষয়টি তাকে জানান।

তিনি আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজনকে সাথে নিয়ে গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ি যান। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজনের গতিবিধি ভালো মনে না হওয়ায় বিষয়টি ইউএনও’কে জানান। লেখাপড়ার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহী একজন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দিচ্ছে না এমন অভিযোগ পেয়ে তৎক্ষণাৎ থানা পুলিশ সাথে নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেন ইউএনও মুহসিয়া তাবাসসুম।

সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগের সত্যতা পান। এমতাবস্থায় অভিভাবকদের কাছ থেকে এই মর্মে মুচলেকা নেন যে, ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়িতে থেকে পরীক্ষা দিবেন এবং পরীক্ষা শেষে তিনি শ্বশুরবাড়ি ফিরবেন। শ্বশুর বাড়িতে প্রবেশে তাকে শ্বশুর বাড়ির কেউ বাধা দিবেন না।

এর পরপরই সেই আলিম পরীক্ষার্থী গৃহবধূকে সাথে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন ইউএনও। এসময় তার সাথে ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া সুলতানা, থানা পুলিশ, স্থানীয় ইউপি সদস্য।

ইউএনও মুহসিয়া তাবাসসুম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া সুলতানার শিক্ষানুরাগী এমন ভূমিকায় অভিভূত ওই পরীক্ষার্থী গৃহবধূ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS