মফস্বল ডেস্ক : গাইবান্ধা জেলার যমুনা, ব্রক্ষ্মপুত্র ও ঘাঘটসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও তা রয়েছে বিপৎসীমার ওপরে। ফলে জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটাসহ চার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি।
ফলে কয়েকদিন ধরে ৩০টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়াসহ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অর্ধলক্ষাধিক পরিবার। উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতে হঠাৎ বন্যার পানি ঢুকে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ আশ্রয়কেন্দ্রে। এসব মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন পালিত গবাদিপশু গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি নিয়ে। এদিকে, বন্যাদুর্গত চার উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে আছে আউশ ধান, পাট, মরিচ ও আমন বীজতলাসহ প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন শাকসবজি। ভেসে গেছে শত শত মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ।
চার উপজেলায় দুর্গত মানুষের জন্য ৩ হাজার ৫০টি করে শুকনো খাবার প্যাকেট ও ১৬৫ মেট্রিক টন জিআর চাল এবং নগদ অর্থ বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।