রংপুর প্রতিনিধি : উজান থেকে আসা ঢলে বিভাগের আট জেলার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার ৫২টি চরে বসবাসকারী পরিবারগুলো নিদারুণ কষ্টে জীবনযাপন করছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলসহ গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক।
তিস্তা নদীর পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তার শাখা নদী মানস নদীগুলেতেও পানি বাড়ছে। পানিবন্দি পরিবারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। চরাঞ্চলের স্কুলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পানির স্রোতে ভেঙে গেছে শাখা নদীর ওপর নির্মিত সাঁকোগুলো।
কাউনিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান হাবিব সরকার জানান, উপজেলার শহীদবাগ, টেপামধুপুর, বালাপাড় ও হারাগাছ ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী এবং চরাঞ্চল গ্রাম এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় চার শতাধিক পরিবার।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শায়লা জেসমিন সাঈদ বলেন, চরঢুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উঠান প্লাবিত হওয়ায় ক্লাসে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় চর ঢুষমারা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিদুল হক জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। সরকারিভাবে সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। পানিবন্দিদের তালিকা করা হচ্ছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা জানান, উজানের ঢলে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।