চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীহাটী এলাকায় গত ২৭ জুন রাতে প্রতিপক্ষের গুলি, ককটেল ও ধারাল অস্ত্রের হামলায় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও শিবগঞ্জের নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম (৪৫) ও তার বন্ধু নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মতিনকে (৫৫) হত্যা মামলায় আরও ৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
এদের মধ্যে একজন এজাহার নামীয় ও ৩ জন তদন্তে প্রাপ্ত আসামি। এনিয়ে এ মামলায় ৫ জন এজাহার নামীয় ও ৬ জন তদন্তে প্রাপ্তসহ ১১ আসামি গ্রেপ্তার করা হলো। গত রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যেই ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শিবগঞ্জের ঢোড়বোনা গ্রামের জেন্টু আলীর ছেলে আজম আলী (৩৯), একই গ্রামের ময়েজ আলীর ছেলে সাহেব আলী (২২), রশিকনগর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে মো. ফিরোজ (২৮) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বোলতলা চকবহরম গ্রামের জুবায়ের রহমানের ছেলে তাজ হাসান হৃদয় (২১)। আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে গ্রেপ্তার ৪ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে গ্রেপ্তার আসামি দু’জন সাহেব ও হৃদয় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এদিকে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তারদের দেয়া তথ্যে গ্রেপ্তার আজমকে সাথে নিয়ে নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে ঘিরে রাখার পর আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছোড়বোনা গ্রামের একটি গোরস্থানে হত্যাকান্ডের আলামত উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
অভিযানে গোরস্থানের দু’টি স্থানে মাটিতে গর্ত করে বালতিতে পুঁতে রাখা ৩৮টি ককটেল উদ্ধার হয়। ককটেলগুলো তাজা নিশ্চিত হবার পর সেগুলো ধ্বংস করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এছাড়া অভিযানে হাসুয়া, কাতা, চাইনিজ কুড়াল ও রডসহ ১৪টি ধারাল ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার হয়। অপরদিকে আসামি আজমের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি টর্চলাইট।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসগার আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, চাঞ্চল্যকর এই জোড়াখুনের পরদিন গত ২৮জুন শিবগঞ্জ থানায় ৫২ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম।
এরপর থেকেই পুলিশের একাধিক দল গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই)ের অভিযানকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নুরুজ্জামান ও জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।