গৃহবধূ নিলুফা ইয়াসমিনের মৃত্যু
বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের বদরগঞ্জে মৃত্যুর সাত মাস পর ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে মিলল গৃহবধূ নিলুফা ইয়াসমিন (২৯) আত্মহত্যা করেননি বরং তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে স্বামী সহিদারকে আটক করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
জানা যায়, ২০০৯ সালে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ডাকেরহাট এলাকার আব্দুল মমিনের মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিনের সাথে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী ছোট হাজীপুর তেলিপাড়ার আব্দুল হাই মেম্বারের ছেলে সহিদার রহমানের। তাদের দু’টি সন্তান রয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিলুফা ইয়াসমিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে শুনে পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান এবং মেঝেতে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহতের চাচাতো ভাই সাদিকুল ইসলাম বলেন, সে সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিলুফার মরদেহ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। তাই বাধ্য হয়ে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ ডেকে মরদেহ থানায় নেয়া হয়। এঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দিতে চাইলেও তা নিতে রাজি হননি বদরগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা। তিনি একটি ইউডি মামলা রুজু করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ রংপুর মর্গে পাঠান।
এবিষয়ে জানতে বদরগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক(তদন্ত) মনোয়ার জাহান বলেন, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে স্বামী সহিদার রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।