সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার চওড়া কুমারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ২৬টি দোকান ঘর বসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর ওই সব অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নিতে বার বার বলা হলেও তা কর্ণপাত করছেন না দোকান মালিকেরা।
অপরদিকে বিদ্যালয়ের জায়গার সীমানা নির্ধারণসহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও বিদ্যালয়ের জায়গার সীমানা নির্ধারণের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
এতে করে বরাদ্দ হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিদ্যালয়টির শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্ন্নিত হচ্ছে। আর এতে করে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বিগত ১৯৩০ সালে চওড়া কুমারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ৪৬ শতক জায়গায় নিয়ে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২৫৫ জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়ন করছে। আর প্রাচীনতম এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ রয়েছে পাঁচটি। তবে বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি শুন্য রয়েছে। সহকারী শিক্ষক নিখিল চন্দ্র পাল বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের পাঁচতলা ভিত্তির তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণ হলেও সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের চতুর্দিকে জায়গা দখলে নিয়ে নানা রকম দোকানপাট গড়ে উঠেছে। বিদ্যালয়ের আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাওই সব দোকানপাট অবৈধ দোকানপাট বসিয়েছেন।
অবৈধ দোকানপাটের কারণে বিদ্যালয় ভবনের শ্রেণিকক্ষের উত্তরের জানালা একেবারে বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে বিদ্যালয় ভবনে প্রাকৃতিক আলো বাতাস প্রবেশে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শ্রেণিকক্ষে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের অভাবে প্রাত্যহিক পাঠদান কার্যক্রমে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষার্থীদের এক অস্বস্তিকর পরিবেশে পাঠদান করতে হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নিখিল চন্দ্র পাল বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অনেক বার লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাকির হোসেন সরকার বিদ্যালয়ের জায়গা থেকে দোকানপাট সরিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, দোকান মালিকেরা দোকানপাট সরিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন। তারা সময়মতো তাদের দোকানপাট সরিয়ে না নিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।