ভিডিও

কুমিল্লায় জোড়া খুনের মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড,৭ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৪, ০৬:১৭ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২৪, ০৬:১৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় জমিজমার বিরোধের জেরে দুইজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ধনাইতরী গ্রামের মো. হাজী আতর আলীর ছেলে তোফায়েল আহমেদ তোতা (৩৮), মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন (৪৮), হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৮), ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মো. মামুন (২৮), মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মো. বাবুল (৩৫) এবং মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে হারুনুর রশিদ (৪৫)।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ধনাইতরীর মৃত জুনাব আলীর ছেলে হায়দার আলী (৬৫), হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে আবদুল মান্নান (৩২), মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেন (৪৫), মৃত আবদুল খালেকের ছেলে আবুল বাশার (২৮), মৃত আবদুর রশিদের ছেলে জাকির হোসেন, মৃত আবদুল খালেকের ছেলে আবদুল কাদের (৩২) এবং এজাহার বহির্ভুত আসামি একই গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৪৫)।
 
মামলার বিবরণে অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে ২০১৬ সালের ১২ আগস্ট রাতে ধনাইতরী জামতলা খোরশেদ আলমের মালিকানাধীন ‘ভাই ভাই স্টোর’ দোকানে প্রবেশ করে মো. গিয়াস উদ্দিন ও জামাল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় নিহত মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মেহেদী হাসান বাদী হয়ে আসামি মো. তোফায়েল আহমেদ তোতাসহ ১২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১০-১২ জনকে আসামি করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি তোফায়েল আহমেদ তোতাসহ এজাহারনামী ১২ জন এবং এজহার বর্হিভূত আবদুল কুদ্দুসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

অ্যাডভোকেট মো. জহিরুল আরো বলেন, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার আসামি তোফায়েল আহমেদ তোতাসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আসামি হায়দার আলীসহ সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি প্রত্যেককে অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আর মামলার আসামি আমান ও মো. সেলিমের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।

এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘আশা করছি, উচ্চ আদালত রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS