সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলার সর্বত্রই দেখা দিচ্ছে লাম্পি স্কিন (এলএসডি) বা চর্মরোগ। উপজেলা ব্যাপী এরোগের প্রার্দুভাব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাম্পি স্কিন রোগে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শত শত খামারি। গত এক সপ্তাহতে উপজেলায় ৫/৭টি গরুর মারা গেছে।
আত্রাইশুকা গ্রামের কামারপাড়ার আব্দুল সাত্তার খানের দুটি ষাঁড় গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গরুর মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে আব্দুল সাত্তার ও তার পরিবার। ২০১৯ সালের দিকে দেশে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। দেশে জুন-জুলাই মাসে সাধারণত লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুরভাব দেখা যায়। এ রোগ দেখা দিলে পশুর শরীরে জ্বর আসে।
এসময় আক্রান্ত পশুকে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করাতে হবে। লাম্পি স্কিন রোগে পশু আক্রান্ত হলে সাথে সাথে অন্য পশু থেকে আক্রান্ত পশুকে সরিয়ে রাখতে হবে। কলাইচাড়া গ্রামের মাওলানা হাবিবুর রহমান গত সোমবার দুপুরে চিকিৎসার জন্য গরু নিয়ে এসেছেন সাঁথিয়া পশু হাসপাতালে। তিনি জানান, তার এলাকায় লাম্পি স্কিন রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ২টি গরু মারা গেছে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।
এদিকে সরকারিভাবে এলএসডি রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদন না হওয়ায় তা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস খামারিদের মধ্যে সরবরাহ করতে পারছে না। এতে অসচেতন খামারিদের পশু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। বিনামূল্যে ভ্যাকসিন না পেয়ে খামারিরা বাজার থেকে বেশি মূল্যে (এলএসডি) ভ্যাকসিন ক্রয় করে গরুর শরীরে পুশ করছে।
বিষ্ণুবাড়িয়া গ্রামের মানিক মোল্লা ও হাসিনা খাতুন জানান, পাশের গ্রামে গরু মারা যাবার কারণে আমরা দু:চিন্তায় রয়েছি। বাজার থেকে ২৫শ’ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন ক্রয় করে গরুর শরীরে দেয়া হয়েছে। একটি ভ্যাকসিন সর্বোচ্চ ১০টি গরুর শরীরে পুশ করা যায়।
সাঁথিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জহুরুল ইসলাম জানান, লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত পশুকে মশারি দ্বারা ঢেকে রাখতে হবে। তিনি আরও জানান, সরকারিভাবে এলএসডি রোগের ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ চলছে। ভ্যাকসিন উৎপাদন হলেই খামারিদের পশুর মাঝে তা সরবরাহ করা হবে। তবে পশুর শরীরে অপ্রয়োজনে অ্যান্টিবায়াটিক ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহারে বিরত থাকতে পরামর্শ দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।