বিলীন হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, বহু জমি-বাড়ি
লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে পানির তোড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না কমিউনিটি ক্লিনিকটি। এটি ছিল চরের মানুষজনের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র অবলম্বন। এর আগের দিনও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল কমিউনিটি ক্লিনিকটি।
ইতোমধ্যে গড্ডিমারী, শিংগীমারী, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়ার পশ্চিম ও পূর্ব হলদীবাড়ী, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর ডাউয়াবাড়ি ও কিশামত নোহালীর কয়েকশ বাড়ি, মসজিদ, স্কুল, কমিনিউনিট ক্লিনিক ও ব্যাপক এলাকার ফসলী জমি নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। সিন্দুর্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এটি যে কোন সময় সর্বনাশা তিস্তায় হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা: মাসুদ পারভেজ তিস্তায় হারিয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকা পরিদর্শনে যান। ঘর বাড়ি হারিয়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা নানাস্থানে আশ্রয় নিয়েছে। কথা হলে সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট আরিফুল ইসলাম বলেন, এবারের বন্যায় সিন্দুর্নার অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, চর সিন্দুর্না কমিউনিটি ক্লিনিক ও কয়েকশ’ একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ যা পাওয়া গেছে তা চাহিদার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল।
তবে এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহ বলেন, ক্ষতিগস্তদের তালিকা অনুযায়ী ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ১৩২টি, পাটিকাপাড়ায় ৬৭ ও সিন্দুর্নায়- ৪৫টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা জেলায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোপূর্বে ৩‘শ মেট্রিকটন চাল বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।