দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শ্রমিকদল নেতা আবু রায়হান রাহিম (৩১) পাঁচ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে অবশেষে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের চকসুখানগাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে আবু রায়হান রাহিম (৩১) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের এক দফা দাবি চলা আন্দোলনে অংশ নেন। গত রোববার দুপচাঁচিয়া থানায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার ডান পা কেটে ফেলা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল ৮টায় মারা যান। তার ছোট ভাই বাইজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার ভাই শহীদ হয়েছেন। শহীদ ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একমাত্র ছেলে (৫), মা, দুই ভাইসহ বহু আত্মীয় স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা থেকে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে এলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতরণ হয়। মা, তার অবুঝ শিশু, বিধবা স্ত্রী সংসারের একমাত্র উপার্যনক্ষম রাহিমকে হারিয়ে বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে থাকে।
এদিকে ওই দিন বিকালে দুপচাঁচিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা’র নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বগুড়া শহর বিএনপি’র সভাপতি এড. হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সহকারী পরিচালক আব্দুল মজিদ, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুল ইসলাম খান স্বপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, বীরকেদার ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দীন, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান তুহিন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আফছার আলী, সদর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোয়াজ্জিম হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের পক্ষে সিয়াম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।