বদিউদ-জ্জামান মুকুল, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় মসলা জাতীয় ফসল আদা চাষে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। উপজেলায় এই ফসল চাষের পরিধি বাড়াতে ইতোমধ্যেই ১৮ হাজার বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলার অনাবাদি, বাড়ির আঙ্গিনা, রাস্তার ধার, অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পতিত জায়গা ও পুকুরপাড়ে বস্তায় আদাচাষে কৃষক নতুনভাবে স্বপ্ন দেখছেন। অল্প জায়গায় কম খরচে অধিক লাভের আশায় এবং বছরজুড়ে পারিবারিক চাহিদা মেটাতে বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকেছেন কৃষক।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে উপজেলা চত্বরের কৃষি অফিসের পতিত জায়গা, ড. এনামুল হক কলেজ চত্বরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা বছরজুড়ে তাদের পারিবারিক চাহিদা মেটানোসহ বাড়তি আয় করতে বস্তায় আদা চাষে ঝুঁকছেন। ইতোমধ্যেই ১৮ হাজার বস্তায় আদা চাষ করেছেন।
এ ব্যাপারে ভেলুরপাড়াস্থ ড. এনামুল হক কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক বলেন, অনলাইনে বস্তায় আদা চাষের পদ্ধতি দেখে তার কলেজ চত্বরের চারপাশে ৫শ’ বস্তায় আদা চাষ করেছেন।
এ বিষয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ ডা. মকছেদুল আলম বলেন, আদা পরিপাকতন্ত্রের প্রদাহ কমায়, বদহজম, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ওজন ও রক্তচাপ কমায়, হজম ও সর্দি-কাশি নিরাময়ে সহায়তা করে, বমি বমি ভাব দূর করে, ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, বস্তায় আদা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে তার অফিস সংলগ্ন পতিত জায়গায় প্রায় ১ হাজার বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে। এ ফসলটি ছায়াযুক্ত পতিত জায়গায় ভালো হয়। ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ১৮ হাজার বস্তায় আদা চাষ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।