ভিডিও

বগুড়ার ৮টি পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু হয়নি এখনও, ১২ থানা ও ট্রাফিকের কার্যক্রম চালু

১২ থানা ও ট্রাফিকের কার্যক্রম চালু

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৪, ১১:০৮ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ০১:৩৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া সদর থানাসহ জেলার ১২টি থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হলেও শহরের ৮টি পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম এখানো শুরু হয়নি। তবে দু’একদিনের মধ্যেই ফাঁড়িগুলোতে কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।

যে সব ফাঁড়িতে এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি সেগুলো হলো বগুড়া সদর ফাঁড়ি, ফুলবাড়ি ফাঁড়ি, উপ-শহর ফাঁড়ি, স্টেডিয়াম ফাঁড়ি, নারুলী ফাঁড়ি, বনানী ফাঁড়ি, মেডিকেল ফাঁড়ি ও কৈগাড়ী ফাঁড়ি। এই ফাঁড়িগুলোর কার্যক্রম চালু না হওয়ায় রাতে টহল দিতে পারছেনা ফাঁড়ি পুলিশ। যে কারনে রাতে কোথাও কোথাও  অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মো: স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ওই ৮টি পুলিশ ফাঁড়িতে অচিরেই কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে গতকাল সোমবার থেকেই সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ি, কুমিড়া পুলিশ ফাঁড়ি, শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ি, ও মোকামতলা তদন্ত কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সেইসাথে গত শনিবার থেকে সদর ট্রাফিক ফাঁড়িরও কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।  সীমিতভাবে যানজট নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন আপাতত: থানাগুলোতে অভ্যন্তরীণ সেবামূলক কাজ চলছে। থানায় মামলা ও জিডি গ্রহন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে থানার বাইরে পুলিশের সেবামূলক কাজ আপাতত; বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি আরও একটু স্বাভাবিক হলে পুলিশ থানার বাইরেও কাজ শুরু করবে।

এ দিকে, শুক্রবার বিকেল থেকেই বগুড়া সদর থানার কার্যক্রম শুরু করা হয় পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন ডিবি কার্যালয়ের একটি কক্ষে। ভাঙ্চুর ও অগ্নিসংযোগের কারনে শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে সদর থানায় কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে আপাতত: ডিবি কার্যালয়ে সদর থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নিরাপত্তা জনিত কারনে গত ৫ আগস্ট জেলার ১২ থানা থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রত্যহার করে নেয়া হয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের পুলিশী সেবা। তবে ৫ দিন বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার থেকে সদর থানাসহ ১২টি থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

এর আগে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ আগষ্ট বিক্ষুব্ধ জনতা বগুড়ার সদর থানাসহ বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় জেলার সকল থানা ও ফাঁড়ির কার্যক্রম। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় সদর থানা,সদর ফাঁড়ি ও উপ-শহর ফাঁড়ি ও দুপচাঁচিয়া থানা ভবনও।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS