দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলা জাহানারা কামরুজ্জামান ডিগ্রি কলেজের সড়কটির বেহাল দশা। প্রায় ১ কিলোমিটারের অধিক এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এক পশলা বৃষ্টি নামলেই গর্তগুলো পানিতে ভরে থাকছে। ফলে বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
উপজেলা সদরের দুপচাঁচিয়া-আক্কেলপুর সড়কের পাশ থেকে জাহানারা কামরুজ্জামান কলেজের পিছন দিয়ে প্রায় ১ কিলোমিকার এই সড়কটি ধাপহাট সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক জাহানারা কামরুজ্জামান ডিগ্রি কলেজের ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াতের এই সড়কটি একটি উল্লেখযোগ্য সড়ক।
এছাড়াও উপজেলা সদরের ধাপসুলতানগঞ্জ হাটে হাটবারে হাটুরেদের যাতায়াতের এই সড়কটিই ব্যবহার করে থাকে। কার্পেটিং করা এই সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং এর পাথরসহ খোয়া উঠে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এক পশলা বৃষ্টি নামলেই গর্তগুলো পানিতে ভরে থাকছে এবং সম্পূর্ণ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এছাড়াও সড়কটির দু’পাশে পানি নিষ্কাশনের কোন ড্রেন না থাকায় সড়কের উপর দিয়েই বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হওয়ায় দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। এ ব্যাপারে ছোটধাপ এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, আলতাফ ফকির, আমিনুর রহমানসহ অনেকেই জানান, সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রুবেল হোসেন জানান, জে.কে কলেজের পিছনের সড়কটি দুপচাঁচিয়া পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত। পৌরসভার যে কোন কাজ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল থেকে করতে আইনগত জটিলতা রয়েছে। তবে পৌরসভা যদি সড়কটি সংস্কারে আপত্তি নেই মর্মে পত্র প্রদান করে তবে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি সংস্কার করার পদক্ষেপের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।