ভিডিও

বগুড়া সদর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র নিয়ে যত ভয়

এখনও উদ্ধার হয়নি ২৮টি অস্ত্র

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ১০:৩৩ রাত
আপডেট: আগস্ট ২০, ২০২৪, ০১:২২ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া সদর থানার অস্ত্রাগার হতে লুট হওয়া অস্ত্র নিয়ে আতংক দেখা দিয়েছে। অস্ত্রাগার হতে লুট হওয়া ৩৯টি অস্ত্রের মধ্যে ১১টি উদ্ধার হলেও এখনও  উদ্ধার হয়নি ২৮টি অস্ত্র। এ সব অস্ত্রের মধ্যে শর্টগান ও চায়না রাইফেল, এসএমজি ও এলএমজি ও পিস্তল।

একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন,লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে যদি কোনো অস্ত্র ব্যবহারের যোগ্য হয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে চলে যায় তাহলে সেটা ভয়ের কারণ। সবার জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে এ সব অস্ত্র। এ নিয়ে সবাই আতংকিত।  সাধারন মানুষের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারাও।

সংলিষ্টরা বলছেন,লুট হওয়া এ সব অস্ত্র দুর্বৃত্তদের হাতে গেলে অপরাধ কর্মকান্ডে তারা আরও উৎসাহ পাবে। বিশেষ করে অপরাধ প্রবণ মানুষের কাছে এ গুলো থাকলে তারও ভয়ংকর অপরাধী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করে। এ সময় জনতা বিজয় উল্লাস করে। এই ফাঁকে দুর্বৃত্তরা বগুড়া সদর থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় থানার অস্ত্রাগার থেকে ৩৯টি অস্ত্র লুট হয়ে যায়।

সদর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অস্ত্রাগারে ৩৯টি অস্ত্র এবং গুলি মজুদ ছিল। আর যে গুলি মজুদ ছিল তা আগুনে বিস্ফোরিত হয়েছে। তবে ৩৯টি অস্ত্রই লুট হয়ে যায়। পরবর্তীতে  ৩৯টি অস্ত্রের মধ্যে ১১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ১১টি অস্ত্রই পুড়ে গেলেও একটি শর্টগান ব্যবহারযোগ্য।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মো: স্নিগ্ধ আখতার বলেন, সদর থানা থেকে ৩৯টি অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অস্ত্রগুলো উদ্ধারে কাজ শুরু করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, থানা হতে লুট হওয়া আরও ২৮টি অস্ত্র আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। যা ভয়ের কারণ। এই অস্ত্র যদি পেশাদার সন্ত্রাসীদের হাতে চলে যায় তা আতংক বাড়াবে। তাই এসব অস্ত্র উদ্ধারের পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতা প্রয়োজন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS