স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি কোন ধরনের অরাজকতা সমর্থন করে না। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান শক্ত। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন কেবল সংখ্যালঘু নয় এদেশের কোন ধর্ম বর্ণের মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিএনপির কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যদি ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, সহ সভাপতি এড. আব্দুল বাছেদ, মোর্শেদ মিল্টন, সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার, দপ্তর সম্পাদক এড. হুমায়ন কবির, জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক সুমন প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে রেজাউল করিম বাদশা বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাত ৯ টার দিকে গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পালপাড়ায় এক হিন্দু পরিবারের উপর হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, খড়ের পালায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর একটি দৈনিকে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে সংবাদটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টিগোচর হয়।
এরপর তরেক রহমান বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি তদন্ত করে তুলে ধরার নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে বগুড়া জেলা বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল গাবতলী বিএনপির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সেখানে যান এবং তদন্ত করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ওই ঘটনার পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা হিন্দু পরিবারের পাশে রয়েছে। তাদেরকে পাহারা দিচ্ছে। তাদের লুট হওয়া ৪টি গরুর মধ্যে ৩টি গরুসহ অনেক কিছুই উদ্ধার করে তাদেরকে ফিরে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ওই হিন্দু পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে ৫ আগস্ট যারা হামলা করেছে তারাই ২০১৬ সালে হামলা করেছিলো।
মুখচেনা ওই ব্যক্তিরা আগে থেকেই তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছিল। ২০১৬ সালেও তারা বিচার পায়নি। তারা পতিত সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় ছিলো। তিনি আরও বলেন, তারা জানতে পেরেছেন বিগত উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত একটি গোষ্ঠি এই ঘটনার ইন্ধনদাতা।
সাংবাদিক সম্মেলনে রেজাউল করিম বাদশা বলেন, ওই হিন্দু পরিবার মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না। তারা যদি মামলা করে তবে বিএনপি তাদের পাশে দাঁড়াবে। তারা জহুরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম নামের দুই ভাইসহ ১৩ জনের নাম বলেছে। তারা মামলা করলেই সব ধরণের সহায়তা পাবে।
তিনি জানান, কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বৈষম্য বিরোধী এবং ছাত্র জনতার আন্দোলনে বগুড়ায় এ পর্যন্ত ১৪ জন শহিদ হয়েছেন। বগুড়ায় আরও দুই জায়গায় যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে একটি ঘটনা হচ্ছে ব্যবসায়িক লেন দেনের ঘটনা রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতদের সু চিকিৎসা করানোর জন্য আহবান জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।