নিউজ ডেস্ক: টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে কুমিল্লার বেশির ভাগ অঞ্চল। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে দুইদিনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার তিনজন ও সোমবার একজন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে দুইজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে, একজনের মাথায় গাছ পড়ে ও একজন পানিতে ডুবে মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যান কেরামত আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেব দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বিকেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক যোবায়ের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তার আগে, সকালে জেলার চৌদ্দগ্রামে বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় মাথায় গাছ পড়ে শাহাদাত হোসেন (৩৪) নামের এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে।
এর আগে, সোমবার বিকেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সোহরাব হোসেন সোহাগ নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখে বের হলে বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যান তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।