নিউজ ডেস্ক: কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে রাখাইন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বন্যার পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া আরোও দুই যুবকের সন্ধান মেলেনি।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত যুবকের বাড়ি উপজেলার ঈদগড়ে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিখোঁজরা হলেন, উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্বজুমছড়ি গ্রামের ছৈয়দ হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন (২২) এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ছালেহ আহমদের ছেলে রবিউল আলম (৩৫)।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল জব্বার বলেন, ‘আমার পার্শ্ববর্তী ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বজুমছড়ি কবরস্থান সড়ক পার হতে গিয়ে আমজাদ হোসেন পানির স্রোতে ভেসে গেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়ন থেকেও বাঁকখালী নদীর পানির স্রোতে রবিউল আলম নামের একজন ভেসে যাওয়ার খবর পেয়েছি। আমার ওয়ার্ডের ২৫০ পরিবার পানিবন্দি। সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কারো চুলায় আগুন জ্বলছে না। আমি যথাসম্ভব খিচুড়ি রান্না করে জনে জনে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি। উপজেলার গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বাঁকখালী নদীর ভাঙনে এসব এলাকার বাসিন্দারা হুমকির মুখে পড়েছে।
ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নে রাখাইন সম্প্রদায়ের এক যুবক বন্যার পানিতে পড়ে গিয়ে ডুবে যায়। পরে তার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করায় রামুর বিভিন্ন জায়গায় পানি বেড়ে গেছে। সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে দুর্ভোগ নিরসনে কাজ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।